বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নামী গায়ক শিলাজিৎ মজুমদারের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়ি বীরভূমের সিউড়ি থানার কড়িধ্যা লাগোয়া গড়গড়িয়া গ্রামে। সুযোগ পেলেই ছুটি কাটাতে তিনি গড়গড়িয়ায় আসেন। গ্রামবাসীদের কাছে শিলাজিৎ বেশ জনপ্রিয়। তিনি গ্রামে এলে একবার তাঁকে দেখতে এবং তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে গ্রামের যুবক-যুবতী সহ অনেকে ছুটে আসেন। গত রবিবার তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লাইভ ভিডিওতে গ্রামের ছোট্ট মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী সোনামণি রুজের সঙ্গে দেখা যায়। সেই ভিডিওতে শিলাজিৎ বলেন, বুম্বাদা আমার সঙ্গে তোমার এক বোন রয়েছে। আমি গড়গড়িয়া গ্রামে এলেই সোনামণি তোমার কথা বলে। তুমি অনেক বড়, তোমাকে ছোঁয়া যায় না। ও তোমার সঙ্গে একবার দেখা করতে চায়। তুমি বীরভূমে এলে একবার ওর সঙ্গে দেখা করে যেও।
সেই ভিডিওয় সোনামণি অভিনেতা প্রসেনজিতের উদ্দেশে বলে, ‘দাদা, তুমি একবার গড়গড়িয়ায় এসো। তোমাকে আমি দেখব, তোমাকে প্রণাম করব। সময় করে অবশ্যই একবার তুমি গড়গড়িয়া এসো। সোনামণির কাছে শিলাজিৎ জানতে চান, কে তোর দাদা? আমি না বুম্বাদা? উত্তরে সোনামণি বলে, বুম্বাদা। বুম্বাদা আগে আমার দাদা।
কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রসেনজিতের কাছে পৌঁছে যায় গড়গড়িয়া গ্রামের বোন সোনামণির বার্তা। তারপরই ভিডিও বার্তা দিয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, সোনামণি আমি তোমার ভিডিওটা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম। সেটা আপলোড করেছে শিলা। শিলাজিৎ আমার ছোট ভাইয়ের মতো। ওকে আমি ধন্যবাদ জানাব। আমাদের এতটা কাছে নিয়ে এসেছে বলে। আমি সত্যিই তোমার কথাগুলি শুনে অভিভূত। আসলে, তোমাদের এই ভালোবাসা আছে বলেই আমি আছি। তোমরাই আমার শক্তি, তোমরাই আমার প্রেরণা, আমার পাশে থেকো, সঙ্গে থেকো। আমাকে এভাবেই ভালোবেসো। আমি কথা দিচ্ছি, আমাদের চারপাশে যে করোনা পরিস্থিতি চলছে তা একটু কমলেই শিলার সঙ্গে কথা বলে আমি তোমাদের কাছে যাব, তোমাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাব। অনেক ভালোবাসা জানাই তোমাদের গ্রামের প্রতিটি মানুষকে।
প্রসেনজিতের ডাই হার্ট ফ্যান সোনামণি। এত বড় একজন অভিনেতার সঙ্গে সোনামণি আদৌ কখনও মুখোমুখি হতে, কথা বলতে পারবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে ছিল সে। প্রসেনজিতের এই বার্তা পাওয়ায় পরই তাঁকে সামনে থেকে দেখার, স্পর্শ করে প্রণাম করার আশায় এখন বুক বেঁধেছে গড়গড়িয়ার সোনামণি। -নিজস্ব চিত্র