গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
৩ মে নন্দীগ্রামের বাসিন্দা ও বিজেপি সমর্থক দেবব্রত মাইতিকে ব্যাপক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। ১৩ মে সেখানেই তিনি মারা যান। হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশে সিবিআই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করার পর ওই ঘটনাটিও সেই তালিকায় আসে। সুফিয়ান আগাম জামিনের আবেদন করেন। ২৭ অক্টোবর সিবিআই আদালতে প্রতিশ্রুতি দেয়, মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে না। এদিনের শুনানিতে অভিযুক্ত আদালতকে জানান, আগস্টে তদন্ত শুরু করার পর সিবিআই দু’বার তাঁকে নোটিস পাঠায়। তিনি তাতে সাড়া দিয়েছেন। কিন্তু, ৫ অক্টোবর যে চার্জশিট তারা পেশ করেছে, তাতে তাঁর নাম নেই। অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৬ অক্টোবর বলেছেন, ১০ জন এই মামলায় গ্রেপ্তার হবে। যাদের মধ্যে তাঁরও নাম আছে। তাঁর অভিযোগ, সেদিন ঘটনার সময় তাঁর ফোনের কল রেকর্ড বা টাওয়ার লোকেশন সিবিআই এখনও নেয়নি। এই অবস্থায় তিনি গ্রেপ্তারির আশঙ্কা করছেন।
জবাবে সিবিআই জানায়, চার্জশিট জমা করার ব্যাপারে সময়ের বাধ্যবাধকতা থাকায়, তা নির্দিষ্ট সময়েই জমা করা হয়েছে। সেখানে অভিযুক্তের নাম নেই। কিন্তু, পরবর্তীকালে স্থানীয় মানুষ সাহস করে ফৌজদারি আইনের ১৬৪ ধারা অনুযায়ী সাক্ষ্য দেওয়ায় পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। অন্যদিকে অভিযোগকারীর তরফে বলা হয়, ওই ভোটের ঠিক আগেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা তিনটি খুনের মামলা রাজ্য সরকার তুলে নেয়। যা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হলে মামলাগুলি ফের চালু হয়েছে। যদিও সেই নির্দেশ অভিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করলে দেশের শীর্ষ আদালত বিষয়টি ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকেই শুনতে বলেছে। এই প্রেক্ষাপটে নন্দীগ্রামের ওই ঘটনায় আবেদনকারীই মুখ্য অভিযুক্ত।