সংসারে অশান্তি, মনে চাঞ্চল্য। ভুল সিদ্ধান্তে কর্মে বাধা। অর্থকড়ি উপার্জন মনোমতো হবে না। ... বিশদ
কী কী বিষয় তাঁরা দেখবেন? তা হল, পুরসভা জরুরি পরিষেবার সঠিক রূপায়ন,জঞ্জাল অপসারণের এবং জল নিকাশি ব্যবস্থার তদারকি। মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া এবং পানীয় জল সরবরাহ, রাস্তা মেরামতি, সবুজায়ন, রাস্তার আলোর কী অবস্থা, তার বিস্তারিত খোঁজখবর করবেন পুর দপ্তর নিযুক্ত পর্যবেক্ষকরা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের কাজকর্মের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। বিশেষ করে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কাজকর্ম সম্পর্কে খোজ নেবেন তাঁরা। বাংলার বাড়ি নিয়ে নানা ধরনের দূর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে নবান্নে। যাঁদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, পুর-নগরোন্নয়ন দপ্তরের সিনিয়র অফিসাররা। তাঁদের কী ধরনের দায়িত্ব পালন করা হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রথমে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তার কিছু পরিবর্তন হতে পারে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, পুর পরিষেবার কাজ আরও উন্নত হোক। সিনিয়র অফিসারদের পর্যবেক্ষক বসিয়ে দিয়ে চাপে রাখলেন পুরসভার কর্তাব্যক্তিদের। পুরসভার ভূমিকার উপরে ভোটে অনেকটাই প্রভাব পড়ে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে রাজ্যের ১১৪টি পুরসভার ভোট হতে চলেছে। সেই সব পুরসভায় বর্তমানে প্রশাসকমণ্ডলী রয়েছে। তাঁরাই পুরসভা পরিচালনা করছেন। তাঁদের কাজে স্বচ্ছতা ও উন্নত করতেই মাসে দু’বার করে রিপোর্ট নেবেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। পর্যবেক্ষকরা দুটি করে পুরসভার দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁরা পুরদপ্তরে রিপোর্ট পাঠাবেন। আর সেখান থেকে রিপোর্ট পাঠানো হবে নবান্নে। যা দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।