পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। তাতে দেশের একাধিক রাজ্যের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। বৈঠকে বাংলার কথা তুলে ধরেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেশ করেন তিনি।
ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) এবং মিউরিয়েট অফ পটাশ (এমওপি) নিয়ে দাবি জানিয়েছে রাজ্য। আলু, বোরো ধান-সহ বিভিন্ন চাষের ক্ষেত্রে এই সার ব্যবহার করা হয়। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে বলা হয়েছে, ডিএপি অক্টোবর মাসে ৪৩৭৩৫ মেট্রিক টনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫৭৩৪ মেট্রিক টন। নভেম্বর মাসে ৪৩৭২৫ মেট্রিক টনের মধ্যে প্রদান করা হয়েছে ৭৬৬৫ মেট্রিক টন। গত দু’মাসে বঞ্চনা এমওপি নিয়েও। এদিনের বৈঠকে রাজ্য কেন্দ্রকে জানায়, এমওপি অক্টোবরে ৩৯৬০০ মেট্রিক টনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৭৯৫৫ মেট্রিক টন। আর নভেম্বরে ৩৯৫৮০ মেট্রিক টনের মধ্যে বাংলা পেয়েছে মাত্র ৫২৯৩ মেট্রিক টন।
এখানেই রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্র বলেছিল সব সার দিয়ে দিয়েছি। তা আদৌ সত্য নয়। তাই বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে। সার নিয়ে বঞ্চনা করেই চলেছে কেন্দ্র। খারিফ মরসুমে কেন্দ্র ৫০ ও ৩৭ শতাংশ সার দিয়েছিল।
এই অবস্থায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী দাবি জানান, চলতি বছরের শেষ দু’মাসে বকেয়া থাকা সার অবিলম্বে পরিষোধ করুক কেন্দ্র। ঘাটতি কেন্দ্র মিটিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এখন দেখার কথার সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকে কি না।
এদিনের বৈঠকে রেল সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সার যেখানে কেন্দ্র দিয়ে যাচ্ছে, তাতে দূরত্বের বিচারে জেলার জেলায় পৌঁছতে বাড়তি পরিবহণ খরচ হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের। তাই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী দাবি করেছেন, নির্দিষ্ট ভাগে জায়গা ভাগ করে কেন্দ্র সার দিয়ে যাক, তাতে সুবিধা হবে।