রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
নাবান্ন থেকে মঙ্গলবার সকালে তড়িঘড়ি পাঠানো ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত, এরাজ্যে মোট কতগুলি গোরু পাচারের মামলা দায়ের হয়েছে, তা বিকেল তিনটের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে নবান্নকে জানাতে হবে। পাশাপাশি, ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এই পাঁচ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত গোরু পাচারের আগে চোরাচালানকারীদের খপ্পর থেকে রাজ্য পুলিস মোট কত গোরু উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে, সেই সংখ্যাও রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় সরকার পাঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে বিএসএফের কাজের পরিধি (বিচার বিভাগীয় ক্ষেত্র) ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করে। যা নিয়ে শাসক-বিরোধী দলের মধ্যে তরজা চলছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নবান্নের এই তথ্য তলবকে ইঙ্গিতবহ বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে গিয়েছেন। আজ বুধবার তাঁর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক করার কথা রয়েছে। ঠিক তার আগের দিনের দিন এমন তড়িঘড়ি রাজ্য পুলিসের সমস্ত শাখার কাছ থেকে গোরু পাচার নিয়ে এই তথ্য চেয়ে পাঠানোকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে পুলিস প্রশাসনের একাংশ। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে মোদির কাছে সরাসরি আপত্তি জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গোরু চোরাচালান নতুন কোনও বিষয় নয়। চলতি বছরের বিধানসভা ভোটের মুখে এই ইস্যুতে শাসক বিরোধী লড়াই তুঙ্গে উঠেছিল। এমনকী গোরু চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে এরাজ্যে কর্মরত বিএসফের পদস্থ কর্তা যেমন গ্রেপ্তার হয়েছেন, ঠিক তেমনি পাচারকারী থেকে রাজ্য পুলিসের এক অফিসারও গ্রেপ্তার হয়েছেন। বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে একাধিক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।