বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। এই অবস্থায় ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেসের হাল ধরতে নেমেছেন সোনিয়া তনয়া প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। মঙ্গলবার তিনি ঘোষণা করেছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়া হবে।
প্রিয়ঙ্কার এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বুধবার তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছে, ভারতে রাজনৈতিক দল হিসেবে তারাই প্রথম ৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দিয়েছে। লোকসভার দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
অর্থাৎ কংগ্রেসকে একপ্রকার খোঁচা দিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরে রাজ্যের শাসক দল। এদিন ট্যুইট করে তৃণমূল বলেছে, মহিলাদের জন্য কংগ্রেস যদি সত্যিই আন্তরিক হয়, তাহলে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও যেন এই পদক্ষেপ করা হয়। তাহলেই বোঝা যাবে কংগ্রেস রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে কতটা আন্তরিক।
লোকসভা, রাজ্যসভা কিংবা রাজ্যের মন্ত্রিসভায় মহিলাদের অংশগ্রহণে তৃণমূল একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখানেই রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, তৃণমূল এখন গোটা দেশে মডেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুসরণ ও অনুকরণ করছে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল। মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারী সমাজের জন্য একের পর এক জনমুখী প্রকল্প নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পরবর্তী প্রশাসনিক দায়িত্ব বণ্টনের মধ্যে দিয়ে মহিলাদের সামাজিক সম্মান দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা মমতা সর্বপ্রথম ভেবেছেন ও পদক্ষেপ করেছেন বলে দাবি করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও গিমিক দেন না। তাঁর কাজের সততা ও বাস্তবতা প্রমাণিত। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও তাঁর দলের বোধোদয় একটু দেরিতে হল।
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘তৃণমূল আসল কংগ্রেস’ তা জোড়াফুলের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তারা উল্লেখ করেছে, মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াসের বিষয়টি কংগ্রেস এতদিনে বুঝতে পারল বলে ভালো। কিন্তু তারা উত্তরপ্রদেশ-সহ গোটা দেশে কী করে সেটাই দেখার।