কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুজোর ছুটি চলাকালীন গত এক সপ্তাহে কলকাতায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা বেড়েছে। মাঝে ২০০ পৌঁছেছিল এই সংখ্যা। তবে পুরকর্তারা সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত নয় বলে দাবি করলেও আদপে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। তাই সোমবার তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অতীন ঘোষ। পরে সাংবাদিক বৈঠকে অতীনবাবু বলেন, ২৫ অক্টোবর থেকে পুরোদমে পুরসভা চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিভাগের ছুটি বাতিল করা হল। আজ, ১৯ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন স্বাস্থ্যবিভাগ চালু থাকবে। নির্দিষ্ট কয়েকটি ছুটি ও রবিবার ছাড়া রোজ ১৪৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই দেওয়া হবে টিকা। একইসঙ্গে পরীক্ষা বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি শহরে করোনা আক্রান্তের দৈনিক গ্রাফ চিন্তা বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষের? অতীনবাবুর সাফ জবাব, শহরের পরিস্থিতি নাগালের মধ্যেই রয়েছে। যে পরিমাণ দর্শনার্থী পথে বেরিয়েছেন, মণ্ডপে ঘুরেছেন, সেই তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুশো’র ভিতরেই রয়েছে। মৃত্যুর হারও খুব কম। আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। তবে, আগে থেকেই আমরা সতর্ক থাকছি।
উল্লেখ্য, পুজোর আগে পুরসভা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, পুজোর মরশুমে অর্থাৎ ১০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ন’দিন মিলবে টিকা। কিন্তু এদিন ফের নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিনই টিকা দেওয়া হবে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে মাইক প্রচার করে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজো, ভাইফোঁটা, ছটপুজো, বিরসা মুণ্ডা এবং গুরু নানকের জন্মদিন এবং রবিবার ছাড়া রোজ পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, পুজোর দিনগুলিতে ১৬টি বরোয় ১৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং রক্সি সহ ১৭টি কেন্দ্রে আরটিপিসিআর টেস্ট হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টেস্টের আওতায় নিয়ে আসতে চাইছে পুর প্রশাসন। পুরসভার এক শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, পুজোর পর করোনা কী গতিতে ছুটবে, তা আগামী সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বোঝা যাবে। তবে, মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ফলে আক্রান্তের দৈনিক হার খুব একটা বড়বে বলে মনে হয় না।