বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সরাসরি দুর্গাপুজোয় সিপিএম না জড়ালেও উৎসব মরশুমে বুক স্টল করার রীতি তারা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। এটি দলের সাংগঠনিক কর্মসূচি হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকে। ভোটে ধরাশায়ী হলেও তার প্রভাব পড়েনি বুক স্টলে, মত সিপিএমের রাজ্য নেতাদের একাংশের। তাঁরা বলছেন, আগের মতো এবারও ভালো সংখ্যায় বই বিক্রি হয়েছে।
প্রতিবারই পুজোয় বুক স্টল করার জন্য সিপিএমের বিভিন্ন স্তরের কমিটিকে বইয়ের জোগান দেয় পার্টির প্রকাশনা সংস্থা ন্যাশনাল বুক এজেন্সি বা এনবিএ। জানা গিয়েছে, স্টলগুলিতে লেখক হিসেবে এবারও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বইগুলির বিক্রি ছিল সবচেয়ে বেশি। টাকার অঙ্কে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ১০ লক্ষ টাকার উপর বই বিক্রি করে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে বিক্রির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ হিসেব এখনও হাতে আসেনি রাজ্য কমিটির। আসন্ন কালীপুজো ও জগদ্বাত্রী পুজো উপলক্ষেও কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় স্টল দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, সিপিএম ছাড়াও এবার এসইউসি, লিবারেশন, ফরওয়ার্ড ব্লক প্রভৃতি বামপন্থী দলগুলিও স্টল দিয়েছিল পুজোর সময়।
বই বিক্রি প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আসলে এখনও বাংলার শিক্ষিত সমাজের মধ্যে বামপন্থার একটা আলাদা জায়গা রয়েছে। তৃণমূল-বিজেপি’র জমানায় নির্বাচন মেরুকরণের যাঁতাকলে আটকে পড়েছে। তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তাপস রায় অবশ্য এর মধ্যে ব্যতিক্রমী কিছু দেখতে পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, দীর্ঘকাল ধরেই উৎসবের সময় বামেরা জনসংযোগের হাতিয়ার হিসেবে স্টল সংস্কৃতি আঁকড়ে ধরে চলছে। কংগ্রেসে এই সংস্কৃতি প্রায় ছিল না। তৃণমূলের স্টল গত কয়েক বছরে হু হু করে বেড়েছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইয়ের পাশাপাশি এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত টি-শার্টও বিকিয়েছে প্রচুর। আসলে সিপিএম বা বামপন্থীদের অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার কারণ খুঁজতে হয়তো কিছু মানুষ ওদের দলিল বা বইগুলি পড়তে চাইছে।