বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ পঞ্চায়েতের দৌলতপুরে অভিযান চালায় পুলিস। ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছের ওই গ্রামে এক যুবক জাল নোটের কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে জানতে পারেন কুম্ভীরা পুলিস ফাঁড়ির কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিস গিয়ে অভিযুক্ত ওই যুবককে আটক করতেই তাঁদের ওপরে চড়াও হয় স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী। বেধড়ক মারধোর করা হয় কুম্ভীরা পুলিস ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তনভির আজাদ, পুলিস আধিকারিক সমীর সিংহ সহ চার পুলিস কর্মীকে। আহত অবস্থায় কোনও মতে বেঁচে ফেরেন তাঁরা। হামলাকারীরা জাল নোট পাচারে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেও ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে আহত পুলিস কর্মীদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। খবর পেয়ে জেলা পুলিস আধিকারিকরা এদিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। অভিযুক্তদের বেশিরভাগই গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, জাল নোট পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল পুলিস। পুলিসের ওপরে দুষ্কৃতীরা হামলা করেছে। কুম্ভীরা ফাঁড়ির ইন চার্জ, একজন এএসআই ও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার সহ তিনজন পুলিস কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। যে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছিল তার নিশ্চয়ই সারবত্তা রয়েছে। সেই কারণেই পুলিসের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।
পুলিস সুপার বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা পাঁচজনকে আটক করেছি। পুলিসের ওপরে হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও বেশ কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যে বা যাঁরাই এই হামলার পিছনে মদত দিয়ে থাকুক, তাঁদের কাউকেই ছাড়া হবেনা। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগেও আমরা একই ধরণের নজির তৈরি করেছি।
এদিকে শাসকদলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্য এই ঘটনায় মদত দিয়েছেন বলে স্থানীয় কিছু মহল থেকে যে অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আমরা মনে করিনা তৃণমূলের কোনও কর্মী বা পঞ্চায়েত সদস্য এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। পুলিস নিজের মতো করেই তদন্ত করবে। পুলিসের তদন্তে দল কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করবেনা। দলও নিজের মতো করে এই ঘটনা নিয়ে খোঁজখবর নেবে।
তবে বিজেপি’র জেলা সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বৈষ্ণবনগরের ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল জালনোটের কারবারিদের আসল মদতদাতা কারা। পুলিসের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের তোয়াক্কা না করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করুক পুলিস। তা না হলে এই বিষয়টি নিয়ে জোরদার আন্দোলনে নামবে বিজেপি।