কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কলকাতায় এদিন বন্ধের সমর্থনে সংহতি মিছিল করে বামফ্রন্টভুক্ত দলগুলি। বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, নরেন চট্টোপাধ্যায়, মনোজ ভট্টাচার্যদের নেতৃত্বে সেই মিছিল এন্টালি থেকে মল্লিকবাজার হয়ে মৌলালি মোড়ে এসে শেষ হয়। সিপিএমের কৃষক সভা সহ নানা কৃষক সংগঠনের একটি পৃথক মিছিল মৌলালি থেকে শুরু হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে গিয়ে ডোরিনা ক্রসিংয়ে শেষ হয়। সকাল থেকে যাদবপুরে ট্রেন অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থক ছাত্রযুবরা। কলকাতা সংলগ্ন চার জেলায় বন্ধের সেরকম কোনও প্রভাব পড়েনি। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া, অশোকনগর, বারাসত, দেগঙ্গায় কিছুক্ষণের জন্য টাকি রোড, যশোর রোড, টাকি-নৈহাটি রোড অবরোধ করেন বাম সমর্থকরা। বরানগর টবিন রোড মোড় এবং বারাকপুর স্টেশন রোডে প্রতীকি অবরোধ হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, জয়নগর, বিজয়গঞ্জ, রায়দিঘি, বকুলতলা, কাকদ্বীপ সহ নানা জায়গায় পিকেটিং হয়। আইন ভাঙার অভিযোগে মোট ২৭ জনকে এই জেলায় গ্রেপ্তার করে পুলিস। হাওড়ায় বালি হল্টে অবরোধ হয় সকালে। উলুবেড়িয়ার গোরুহাটা মোড়, স্টেশন রোড মোড় অবরোধ করা হয় কিছু সময়ের জন্য। সকাল আটটা নাগাদ হুগলির পাণ্ডুয়া স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করে বামেরা। ডানকুনি, ধনেখালি, দিল্লি রোড, দুর্গাপুর হাইওয়ের নানা জায়গায় অবরোধ করে তারা। উত্তরপাড়ায় জি টি রোড অবরোধ করা হয়।
বন্ধ সফল করতে এদিন দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই সকাল থেকে বাম কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমেছিলেন। দুর্গাপুর, তমলুকের নিমতৌড়ি, নদীয়ার কালীগঞ্জ, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া সহ কয়েকটি এলাকায় তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া বাজারে একটি বাসে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। নদীয়ায় বেসরকারি বাস সেভাবে চলতে দেখা যায়নি। রানাঘাট, শান্তিপুর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বামেরা মিছিল করে। বাঁকুড়া জেলায় এসবিএসটিসির বাস সচল থাকলেও বেসরকারি বাস চলেনি। আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে কোনও প্রভাব পড়েনি বন্ধের। বাঁকুড়া মোড়ে তারা আমজনতার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। সেখানে লালঝাণ্ডা কাঁধে হম্বিতম্বি করতে দেখা যায় কয়েকজনকে। দুর্গাপুরে সরকারি বাস আটকে বামেরা বিক্ষোভ দেখায়। পূর্ব মেদিনীপুরে বেসরকারি বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তার জেরে আমজনতাকে নাকাল হতে হয়েছে। তবে অন্যান্য পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। পুরুলিয়া শহরে মিছিল করে বাম সমর্থকরা। পাড়ার দুবড়ায়ও মিছিল করা হয়।
উত্তরবঙ্গে বন্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সরকারি অফিস, পুরসভা খোলা ছিল। তবে বন্ধ ছিল বহু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। বন্ধের জেরে পুজোর বাজারে সর্বত্রই কমবেশি প্রভাব পড়েছে। তরাই-ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিতে অন্যদিনের মতো স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়। রাস্তায় বেসরকারি বাস না চললেও এনবিএসটিসির বাস চলে। উত্তরবঙ্গের সর্বত্রই কমবেশি এই চিত্র দেখা যায়। জলপাইগুড়িতে ১০ জন বন্ধ সমর্থনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।