বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
যদিও রেল বোর্ডের সেই অনুমোদন এখনও আসেনি। তবে আর অপেক্ষা করতে রাজি নয় রেল পুলিস। কেন রেলের অনুমোদন প্রয়োজন হয়? কারণ, জিআরপির মোট ব্যয়ের অর্ধেক রেলমন্ত্রক বহন করে। তবে ইতিমধ্যেই ফের ছাড়পত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন রেল পুলিসের ডিজি। জিআরপিকে কেন ফাঁড়ি তৈরি করতে হচ্ছে পলাশীতে? রেল পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, প্রথমত, পলাশীর একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। ফি বছর বহু পর্যটকের যাতায়াত রয়েছে সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনে দাবির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে পলাশী স্টেশনটি শিয়ালদহ এসআরপির অধীনে। কৃষ্ণনগর জিআরপি থানা থেকে পলাশী স্টেশনের দূরত্ব ৫০ কিমি। অন্যদিকে, ধুবুলিয়া থেকে বেলডাঙা—মধ্যবর্তী এই ৫৬ কিমি রেলপথে এতদিন রেল পুলিসের কোনও অস্তিত্বই ছিল না। অথচ, এই পলাশীর উপর দিয়ে প্রতিদিন একাধিক মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত করে থাকে। ফলে রোজকার ট্রেন গার্ডের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে এতদিন কৃষ্ণনগর থেকে ছুটে আসতে হতো রেল পুলিসকে। সাম্প্রতিক অতীতে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের সময় পলাশী সংলগ্ন বেলডাঙা স্টেশনেই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল। তাই অপরাধপ্রবণ এই তল্লাটে রেল পুলিসের নজরদারি জরুরি হয়ে পড়েছিল। রেল পুলিস সূত্রের খবর, পলাশী জিআরপি ফাঁড়ির জন্য মোট ২৭টি পদ অনুমোদন করেছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর। তাঁদের মধ্যে দু’জন সাব-ইনসপেক্টর, তিনজন এএসআই, একজন মহিলা এএসআই, ১৬ জন কনস্টেবল, চারজন মহিলা কনস্টেবল এবং একজন পুলিস ড্রাইভার।