সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
রানাঘাট পুলিস জেলায় মোট ১২৪টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ৪১হাজার ৫৮৮ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা দিতে আসা ২০জনকে গ্রেপ্তার করেছে রানাঘাট জেলা পুলিস। তাদের মধ্যে কল্যাণী ও চাকদহ থানা এলাকারই ১৪জন রয়েছে। এছাড়াও হরিণঘাটা ও হাঁসখালি থানার পুলিস পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কেউ অন্যের নামে পরীক্ষা দিচ্ছিল কেউ আবার পরীক্ষা কেন্দ্রে লুকিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করছিল। এই ধরনের বিভিন্ন কারণ এবং অসৎ উপায় অবলম্বন করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কৃষ্ণনগর পুলিস জেলায় পাঁচ পরীক্ষার্থীকে এদিন বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাপড়ার কিং এডওয়ার্ড হাইস্কুল থেকে অভিজিৎ কুমার নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে। পুলিস জানিয়েছে, ওই স্কুলে পরীক্ষার আসন পড়েছিল কৃষ্ণগঞ্জ থানার চৌগাছা গ্রামের বাসিন্দা রনি বিশ্বাসের। ধৃত যুবক রনির অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করছিল। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে ওই যুবকের ছবি না মেলায় তাকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে জেরা করে পুলিস জানতে পারে, সে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে রনির হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। আসল পরীক্ষার্থী রনি বিশ্বাসের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তেহট্ট থানা এলাকায় দু’জন ও পলাশীপাড়া থানা এলাকা থেকে একজন চাকরিপ্রার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তেহট্ট থানার দেবনাথপুর শরৎ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে একজনের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলে বগুলার উজ্জ্বল দাস। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগেই পুলিস তাকে ধরে ফেলে। বেতাই পরিমল বাগচি স্মৃতি বিদ্যালয়েও অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে গ্রেপ্তার হয় আরিয়ান শর্মা নামে লালগোলার এক যুবক। এছাড়া পলাশীপাড়া থানার সিদ্ধেশ্বরীতলা ইনস্টিটিউশন থেকে ঝাড়খণ্ডের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। হাঁসখালি থানার বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল গোপালনগরের প্রসেনজিৎ বিশ্বাস ও বাগদার শুভম মণ্ডল। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখেই তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিস। জানা গিয়েছে, ওই দুই যুবক টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। এছাড়া ভীমপুর থানার আসাননগরের একটি স্কুলে পরীক্ষা দিতে এসেছিল পীযূষ কুমার। তার বাড়ি বিহারের ভাগলপুরে। এদিকে বর্ধমান শহরের একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এসে এক পরীক্ষার্থী এদিন উত্তরপত্র নিয়ে চলে যায়। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। চম্পাহাটির এক পরীক্ষা কেন্দ্রে লাইন। -নিজস্ব চিত্র