পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী সোমবার উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের মায়ানমার উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরে থাকাকালীন ক্রমেই সেটি শক্তি সঞ্চয় করে মঙ্গলবার সকালে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। এরপর তা ধীরে ধীরে রাজ্যের উপকূলীয় জেলা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করবে। এই নিম্নচাপের জেরে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তার সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। দপ্তরের অধিকর্তার মতে, ২৭ তারিখ, সোমবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে। অন্যদিকে, কলকাতা, পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০-৪০ কিমি। পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ও। তবে রাজ্যে এর উল্লেখযোগ্য কোনও প্রভাব থাকবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। সূত্রের খবর, ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মাঝ বরাবর সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে। ওড়িশা উপকূলের নিকটে থাকা পূর্ব মেদিনীপুরে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। তবে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের বিশেষ কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন অধিকর্তা।
এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় আগাম সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে উপকূলবর্তী এলাকায় কাঁচাবাড়ির বাসিন্দাদের সোমবার সকালের মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাগর ও কাকদ্বীপ, ক্যানিং সহ একাধিক এলাকায় শুরু হয়েছে মাইকে সতর্ক করার কাজ। আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রাও নিষিদ্ধ। ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন এলাকা দ্রুত নিকাশির জন্য সেচদপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। একইসঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদকে। গত সপ্তাহে প্রবল বর্ষণের কারণে জলমগ্ন রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনার সাক্ষী শহর থেকে শহরতলি। এবার যাতে সেরকম অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদকে। আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা ও শহরতলির পুরসভাগুলিও। কলকাতায় পুর স্কুলগুলিতে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। জল নামাতে ৭৭টি পাম্পিং স্টেশনের পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৫০টি পোর্টেবল পাম্প। জল জমা ঠেকাতে উদ্যোগ চোখে পড়েছে বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, নিউটাউন ও হাওড়াতেও।