সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
এই প্রেক্ষাপটে শনিবার দলের মুখপত্রে তৃণমূল তুলে ধরেছে কংগ্রেস সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘এখানকার কংগ্রেস ব্যর্থ, দিশাহীন। তৃণমূলকে হটাতে এরা সিপিএমের সঙ্গে জোট করে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা করে।’ এরপরই বিকেলে কলিন লেন ও শেক্সপিয়ার সরণির নির্বাচনী সভাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় উঠে আসে কংগ্রেস প্রসঙ্গ। মমতা বলেছেন, ‘কংগ্রেস ও বিজেপির আঁতাত রয়েছে। তৃণমূলকে ড্যামেজ করতে কংগ্রেসও বিজেপিকে ম্যানেজ করে চলে। কংগ্রেসকে নিয়ে আমরা হাঁপিয়ে গিয়েছি। আমরা একাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যথেষ্ট।’
কংগ্রেস প্রসঙ্গে মমতা কেন এতটা ক্ষুব্ধ, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষকরে দলের মুখপত্রে বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেসের ঐতিহ্যের পতাকা তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। এটাই সমুদ্র। পচাডোবা আজ অপ্রাসঙ্গিক। কংগ্রেসের অধিকাংশ সর্মথকরা অনুভব করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসই আসল কংগ্রেস।’ আগামীদিন বিজেপি বিরোধী লড়াই তৃণমূল আরও জোরদার করবে, এমন অঙ্গীকারও এদিন শোনা গিয়েছে মমতার গলায়। নির্বাচনী সভায় তিনি বলেছেন, ‘তালিবানি বিজেপি চলবে না। তালিবানি হিন্দুস্তান বানাতে দেব না। আমরা লড়ে নেব।’ লক্ষ্যণীয়ভাবে দেখা গিয়েছে, ‘হাত’ ছেড়ে শীর্ষ-স্থানীয় নেতা-নেত্রীরা যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে। এদিন দলের মুখপত্রে তৃণমূল উল্লেখ করেছে, ‘এখানে যাঁরা কংগ্রেস করেন, তৃণমূলে স্বাগত। দিল্লির ক্ষেত্রেও প্রবণতা সেটাই।’ ২০২২, ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তারপর ২০২৪ সালে ফাইনাল ম্যাচ, লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু কংগ্রেস যখন ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না, তখন ‘ব্যাটন’ নিজের হাতেই তুলে নিচ্ছে তৃণমূল। দলের মুখপত্রের বলা হয়েছে, ‘২০১৪, ২০১৯ সালে কংগ্রেস যদি বারবার ব্যর্থ হয়, তার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না। বাংলায় যদি আসল কংগ্রেস এখন তৃণমূল হতে পারে। আগামীকাল সারা দেশের আসল কংগ্রেসের ভূমিকায় তৃণমূল লড়াই করবে।’ তৃণমূলের অবস্থান দেখে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, কংগ্রেসকে দুর্বল করে বিজেপির হাত শক্ত করছে তৃণমূল। নির্বাচনী পাটিগণিত লোকসভায় হয়েছে, বিধানসভায় হয়েছে, আগামী নির্বাচনী পাটিগণিত ওরা গোটা ভারতবর্ষে করার চেষ্টা করছে। কলিন লেনের নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।