বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পরিসংখ্যান কী বলছে? গত ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে আয়োজিত উপনির্বাচনে রেকর্ড মার্জিনে জিতে মহাকরণে পা রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকমাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরের জোড়াফুল প্রার্থী সুব্রত বক্সির চেয়ে প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি ভোট এসেছিল তাঁর ঝুলিতে। ১০ বছর পরে আবারও এক সেপ্টেম্বর মাসে ভবানীপুরের কাঁধে বর্তেছে মমতার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ‘পাকা’ করার দায়িত্ব। গত বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সাড়ে ২৮ হাজার ভোটের মার্জিনকে টপকে যাওয়াটাই এবারের টার্গেট জোড়াফুলের। আর তা হতে পারে গণতন্ত্রের উৎসবে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ভবানীপুরের ভোট-রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে এই প্রেক্ষিতেই।
গত বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালি কেন্দ্রে জোড়াফুল শিবিরের স্বর্ণকমল সাহার কাছে ৫৮ হাজারের কিছু বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সেই ‘হেরো’ প্রার্থীকেই নামানো হয়েছে মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তিনি আইনি লড়াই লড়েছিলেন গেরুয়া পার্টির হয়ে। সেটাই তাঁর একমাত্র ‘যোগ্যতা’। গতবারের মতোই প্রিয়াঙ্কার হয়ে প্রচারে যাতায়াত শুরু করেছেন দিল্লির বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। সঙ্গে রয়েছেন বিধানসভা ভোটে ‘শূন্য’ পাওয়া বামফ্রন্ট তথা সিপিএমের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। কানাঘুষো বলছে, তাঁর লড়াইটা জামানত বাঁচানোর। জনসংযোগে ‘ঘরের মেয়ে’ অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে বাকিদের থেকে।
মার্চ-এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচনের তপ্ত বাতাবরণের আঁচ লেগেছিল ভবানীপুরে গায়ে, এবার তা স্তিমিত। তার একটা বড় কারণ জনতার দরবারে দেওয়া ভোট-প্রতিশ্রুতি পূরণের পর্ব শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দুয়ারে রেশন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এখন বাস্তব। সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী আর খাদ্যসাথীর বিরামহীন পথ চলা। কলকাতা পুরসভার ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৭ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ভবানীপুর। তার মধ্যে একমাত্র ৭০ আর ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে গতবার ‘লিড’ নিয়েছিল বিজেপি। এবার কী হবে? ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অসীম বসুর কথায়, প্রায় ৬৫ শতাংশ অবাঙালি ভোট এখানে। বাকিদের মতো তাঁরাও বুঝেছেন, কেন্দ্র সরকারের সর্বনাশা নীতির জেরে ব্যবসায়ীরা সমানভাবে বিপন্ন। এ রাজ্যের ঐক্য ও সংহতি বজায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই। লিড দেওয়ার পণ করেছেন ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর দেবলীনা বিশ্বাসও। গত নির্বাচনে শোভনদেববাবুকে ২১ হাজারেরও বেশি ভোটে লিড দিয়েছিল ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর শামিমা রেহান খানের কথায়, এবার তা দাঁড়াবে কমপক্ষে ৩০ হাজারে। এবার যে মুখ্যমন্ত্রী ‘দিদি’কে ভোট দেব আমরা।