কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্তকারী অফিসাররা না আসায় ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ। তবে দু’টি এজেন্সি লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ায় কিছুটা হলেও ক্ষোভ কমেছে তাঁর। যদিও এনিয়ে এখানেই ইতি টানতে নারাজ বিমানবাবু। তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁর ডাকে সাড়া না দেওয়ার বিষয়টি স্বাধিকারভঙ্গের আওতায় পড়ে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হয়। ওই দুই অফিসার রথীন বিশ্বাস ও সত্যেন্দ্র সিংকে ফের তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই অফিসার তাঁর সামনে না আসায় এ নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিশদে কিছু কথা বলতে চাননি বিমানবাবু। তবে তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি এখানেই শেষ হচ্ছে না। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। আমরা সব দিকই খতিয়ে দেখছি।’ অধ্যক্ষের এহেন অবস্থানের ফলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে তাঁর সংঘাতের রাস্তা প্রশস্ত হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর বিরুদ্ধে নারদকাণ্ডে প্রথম চার্জশিট দেয় সিবিআই। পরে একই পথে এগয় ইডি। অধ্যক্ষের অভিযোগ, আইন অনুযায়ী এই ধরনের চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে তাঁর অনুমোদন নেওয়া দরকার। দুই এজেন্সি তা না করায় বিধানসভার গরিমা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি অধ্যক্ষ সম্মেলনেও সরব হন সম্প্রতি। তারপর দুই তদন্তকারী অফিসারকে তলব করেন। সোমবার ইডি লিখিত জবাব পাঠায়। আইন মেনে চার্জশিট দেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি তাদের অফিসার যে তাঁর অফিসে হাজির হবেন না, তাও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে তারা। বুধবার দ্বিতীয় জবাবি-চিঠি পাঠিয়ে ইডি তাদের অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত সিবিআই কোনও সাড়াশব্দ না করলেও এদিন অবশ্য তাদের দুই আধিকারিক একই মর্মে জবাবি-চিঠি দিয়ে যান সচিবের কাছে। তারাও চার্জশিট নিয়ে কোনও বেআইনি পদক্ষেপ করেনি বলে সাফ বুঝিয়ে দিয়েছে। এরপরই অধ্যক্ষ নতুন করে দুই এজেন্সিকে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।