বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহল বলছে, দীপাদেবী তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস কর্মীরা ভোট দেবেন মমতাকেই। এর আগে এই বার্তাটাই তুলে ধরেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে না, তখন দিল্লির বার্তাটা সকলের বোঝা উচিত। প্রসঙ্গত, মমতার সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। দিন কয়েক আগে দিল্লি সফরে গিয়ে সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকও করেন মমতা। ওই বৈঠকে ছিলেন রাহুল গান্ধীও। বিজেপি-বিরোধী লড়াই নিয়ে আলোচনা হয়েছে।ভবানীপুরে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে ক্রমশ ধস নামছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৬ সালের নির্বাচনে সিপিএম-কংগ্রেস জোট গড়ে লড়েছিল ভবানীপুরে। প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির স্ত্রী দীপাদেবী (বউদি) লড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মমতা পেয়েছিলেন ৪৭.৬৭ শতাংশ ভোট (৬৫৫২০)। যেখানে দীপা পেয়েছিলেন ২৯.২৬ শতাংশ ভোট (৪০২১৯)। এরপর ২০২১ সালের নির্বাচনেও সিপিএম-কংগ্রেসে জোট গড়ে লড়াই করে। কংগ্রেস প্রার্থী সাদাব খান পেয়েছিলেন মাত্র ৪.০৯ শতাংশ ভোট (৫২১১)। কংগ্রেসের ভোট কমেছে ২৫.১৭ শতাংশ। আর এখানেই দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ বলেন, ২০১৯ সালে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা ও ২০২১ সালে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাই সঠিক হয়নি। তাই ভোটের ফল খুব খারাপ হয়েছিল। আসন্ন উপনির্বাচনে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট উজাড় করে দেবেন। ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন তিনি। - ফাইল চিত্র