বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
দলের উদ্যোগে দুর্গাপুজো আয়োজনের ব্যাপারে নেই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্গাপুজো করা কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। গত বছরও আমি একথা বলেছিলাম। সেই সময় করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আমি পুজোর সময় বাড়িতেই ছিলাম। এবার হবে কি না, গত বছরের পুজোর উদ্যোক্তারাই বলতে পারবেন। উল্লেখ্য, গত বছর পুজোয় দলের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ‘সংকল্প’ করা হয়েছিল। এবার পুজো নিয়ে রাজ্যস্তরের একাধিক নেতা-নেত্রী তাঁকে প্রশ্ন করলেও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রতাপবাবু। প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে দলের এহেন মনোভাবে ক্ষুব্ধ রাজ্য বিজেপি’র অন্যতম সম্পাদক তথা গতবারের পুজোর আয়োজক সব্যসাচী দত্ত। তাঁর কথায়, আমি একাধিক বৈঠকে পুজো নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, কেউ কোনও জবাব দেননি। সব্যসাচী দত্ত বলেন, হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, একবার পুজো শুরু করলে অন্তত তিনবার তা করতেই হয়। জাঁকজমক না করলেও অন্তত ঘটপুজো করা উচিত। ধর্ম নিয়ে ছেলেখেলা করা উচিত নয়। দলের একাংশের বক্তব্য, হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমরা মাতামাতি করি। কিন্তু পার্টি যে দুর্গাপুজো গতবার শুরু করেছিল, তা চালিয়ে যাওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যবাসী এই লোকদেখানো ‘ভক্তি’ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই বিধানসভা ভোটে ৭৭-এ আটকে গিয়েছে দল, মত নেতাদের একাংশের। সংশ্লিষ্টদের দাবি, গত বছর বাংলার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দিয়ে পুজো উদ্বোধনের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। এমনকী অমিত শাহকে নিয়ে আসার জন্য রীতিমতো বায়না জুড়ে দিয়েছিল একাধিক নামী পুজো কমিটি। কিন্তু এবার এ বিষয়ে ওই কমিটিগুলি আর উচ্চবাচ্য করছে না। ২০১৯ সালে অনেক বাছাই করে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে ৮৯টি পুজো কমিটির নামের তালিকা পাঠিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদানের আর্জি জানানো হয়েছিল। এবার কোনও আবেদনই জমা পড়েনি।