কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বাংলায় শিশু চিকিৎসার সর্বোচ্চ স্তরের রেফারেল হাসপাতাল হওয়া সত্ত্বেও বি সি রায়কে এই দুটি ক্ষেত্রেই বর্তমানে নির্ভরশীল থাকতে হয় দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপর। করোনা সন্দেহ হলে এখান থেকে শিশুদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় বেলেঘাটায় কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান নাইসেডে। অন্যদিকে আরএসভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, অ্যাডিনো, রাইনো ইত্যাদি সন্দেহে সংগৃহীত নমুনা পাঠানো হয় স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে (এসটিএম)। সম্প্রতি জ্বর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের দুটি কেন্দ্রে আরএসভি সহ একগুচ্ছ ভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা (রেসপিরেটরি প্যানেল) হবে। একটি হবে উত্তরবঙ্গে—উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ। অন্যটি হবে দক্ষিণবঙ্গে—কলকাতায় ট্রপিক্যালে। সর্ববৃহৎ সরকারি শিশু হাসপাতাল হলেও ‘ব্রাত্য’ বি সি রায়! বর্তমানে রাজ্যের এই সরকারি শিশু চিকিৎসা ও পঠনপাঠন কেন্দ্রে প্রায় ৭৫০ শয্যা রয়েছে। ৬০০ শয্যা রয়েছে ফুলবাগানের মূল হাসপাতালে। এরই মধ্যে ২৬টি নিকু, ২৮টি পিকু ও শতাধিক এইচডিইউ বেড রয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের টিবি ইউনিটকে কিছুটা জায়গা দেওয়ার পরও, এখানকার দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বি সি রায় পোলিও হাসপাতালে রয়েছে আরও ১৫০ শিশু শয্যা। কী বলছে কর্তৃপক্ষ? রবিবার এই প্রসঙ্গে বি সি রায় শিশু হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ দিলীপকুমার পাল বলেন, করোনার আরটিপিসিআর পরীক্ষার পরিকাঠামো করা চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। বায়ো সেফটি-দুই পর্যায়ের ল্যাবরেটরি করতে হয়। সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আপাতত নাইসেডে নমুনা পাঠিয়ে কাজ চলে যাচ্ছে। পরে ল্যাবরেটরি করা যাবে। আরএসভি সন্দেহে নমুনা আমরা ট্রপিক্যালে পাঠাচ্ছি।
ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন হল, করোনা পর্বের দেড় বছর অতিক্রান্ত। তৃতীয় ঢেউ এবং শিশুদের সংক্রমণের আশঙ্কা এখন অন্যতম শিরঃপীড়ার কারণ। সেটা স্বাস্থ্যদপ্তর আজ নয়, জানে গত কয়েক মাস ধরে। বি সি রায় শিশু হাসপাতালে যদি স্থান সঙ্কুলান হয়, তাহলে হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস পোলিও হাসপাতালেও তো এটি হতে পারত? বি সি রায় হাসপাতাল। -নিজস্ব চিত্র