কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে বাংলাতেও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক এই নিয়ম চালু করতে চলেছে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে সার্বিক স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে ‘ন্যাশনাল মোবাইল মনিটরিং সিস্টেম’ শীর্ষক এই অ্যাপ-হাজিরা ব্যবস্থা চালু করা করতে চাইছে মন্ত্রক। তাতে সহমত জানিয়েছে রাজ্যও। সেই কারণে গত ১৫ তারিখ পঞ্চায়েত দপ্তরের ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার কৌশিক সাহা সব জেলাশাসককে নির্দেশ পাঠিয়ে এই অ্যাপ নির্ভর হাজিরা ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তুতি সারতে বলেছেন। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় শনিবার বলেন, স্বচ্ছতার প্রশ্নে এই ব্যবস্থাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এর ফলে এই প্রকল্পে হাজিরা নিয়ে কোনওরকম দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ থাকবে না বলেই মনে হয়। তবে রাজ্য এই প্রকল্পে দেশের এক নম্বরে আছে এবং থাকবেও। উল্লেখ্য, বর্তমানে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ দেওয়ার নিরিখে এই প্রকল্পে বাংলা এক নম্বর জায়গা দখল করে রেখেছে।
কীভাবে এই অ্যাপ-নির্ভর হাজিরা ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে? পঞ্চায়েত কমিশনারের নির্দেশে তা বিশদে বলা হয়েছে। প্রথমে নিচুতলায় এই প্রকল্পের কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজারদের অ্যানড্রয়েড ফোন নির্দিষ্ট পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে। তারপর সেই ফোন নিয়ে প্রতিদিন কাজের জায়গায় (ওয়ার্ক সাইট) সকাল ১১টার মধ্যে সুপারভাইজারকে গিয়ে মাস্টার রোলে নথিভুক্ত শ্রমিকদের কর্মরত অবস্থায় ছবি তুলে আপলোড করতে হবে পোর্টালে। ১১টার পর কোনওভাবেই এই হাজিরা গণ্য হবে না। দপ্তরের অফিসাররা জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থায় কোনওভাবেই গরমিল করা সম্ভব হবে না। সুপারভাইজারের মোবাইলে জিপিএস ব্যবস্থা যুক্ত থাকার ফলে সুপারভাইজার নির্দিষ্ট কাজের জায়গা ছাড়া শ্রমিকদের হাজিরার ছবি আপলোড করতে পারবেন না। রেগা প্রকল্পের অধীনে সব ধরনের কাজের ক্ষেত্রেই এই নয়া হাজিরা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। অফিসাররা আরও জানান, প্রযুক্তি-নির্ভর এই আধুনিক ব্যবস্থা চালুর জন্য কয়েক বছর আগেই পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্র। এতদিনে তা কার্যকর করছে তারা। হাজিরা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠছে। সরকারি তহবিলের কোটি কোটি টাকা দুষ্টচক্রের লোকজনের পকেটে চলে যাচ্ছে। এবার তা অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।