পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, যাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ, সেই শিশুদের সংক্রমণ কত বাড়ছে, প্রথম ঢেউ থেকেই সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছেন রাজ্যের করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। মঙ্গলবার কমিটির এক সদস্য বলেন, বাংলায় প্রথম ঢেউয়ে মোট সংক্রামিতদের মধ্যে ১৮ বছরের নীচের শিশু-কিশোর ছিল ৬.৩৪ শতাংশ। সেখানে দ্বিতীয় ঢেউয়ে (মার্চ-জুন, ২০২১) আক্রান্তদের মধ্যে ১৮ বছরের নীচে থাকা শিশু-কিশোরের সংখ্যা ছিল ৬.৭৪ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে সব বয়সসীমাতেই আক্রান্ত বেড়েছে। তাই শিশুদের মধ্যেও বেড়েছে। কিন্তু আশার কথা হল, ১-১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ হিসেব বলছে, এই পক্ষকালে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২.৯৪ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নীচে। চলতি সেপ্টেম্বরে রাজ্যে ২১ হাজার ৬৭১ জন সংক্রামিত হয়েছেন করোনায়। তার মধ্যে অনূর্ধ্ব আঠারো মাত্র ৬৩৮ জন। ফলে এখনই তৃতীয় ঢেউ কিংবা শিশুদের মধ্যে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে আইসিএমআর-এর এক শীর্ষ সূত্র জানিয়েছেন, এমনভাবে প্রচার হচ্ছে যেন, সারা দেশে হইচই করে তৃতীয় ঢেউ আসবে। এমনটা কোনওভাবেই হবে না। বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে এই ঢেউ আসবে বিভিন্ন সময়ে। এমনও হতে পারে, একটি রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে অন্য রাজ্যে সেটি শুরু হল! তবে তৃতীয় ঢেউ আসুক বা না আসুক, বাংলায় এখনও পর্যন্ত শিশুদের তাতে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়েনি। বরং শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ আগের তুলনায় এখন অর্ধেকেরও কম।