রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বাস, মিনিবাস, স্কুল বাস, লরি, ম্যাটাডোর, লাক্সারি ট্যাক্সি এই করছাড় সুবিধার আওতায় আসবে। বাস মালিকদের একাংশের প্রশ্ন, বাজেটে ঘোষিত সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এত বিলম্ব হল কেন? পাশাপাশি যেসব মালিক ইতিমধ্যেই অগ্রিম কর মিটিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কীভাবে এই আর্থিক সুবিধা নিতে পারবেন? এ-প্রসঙ্গে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। কিন্তু এই সামান্য ছাড়ে কোমায় চলে যাওয়া বেসরকারি পরিবহণ ক্ষেত্র চাঙ্গা হবে না বলেও মত রাহুলবাবুর। তাঁর অভিযোগ, পরিবহণ দপ্তরের সর্বোচ্চ স্তর থেকে জারি করা এহেন নির্দেশিকা কার্যকর করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ আরটিও এবং এআরটিও-র অনীহা কাজ করে। যার জেরে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে গাড়ির মালিকরা বঞ্চিত হন। সার্বিকভাবে যা সরকারের প্রতি সংশ্লিষ্ট মহলের অসন্তোষ বাড়ে বলেও মনে করেন রাহুলবাবু।
অন্যদিকে, সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা কর ও অতিরিক্ত করছাড় দেওয়া প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিটি বাসে গড়ে দৈনিক ১৬ টাকা ছাড় পাওয়া যাবে। কিন্তু করোনার এই কঠিন সময়ে প্রতিদিন বাস চালানোর খরচ পড়ছে দু’হাজার টাকা। স্বভাবতই কর ও অতিরিক্ত করছাড় বেসরকারি বাস পরিবহণের জন্য স্থায়ী সমাধান সূত্র হিসেবে মানতে নারাজ টিটুবাবু। অবিলম্বে বাসভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে জোরদার সওয়াল করেছেন বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের এই নেতা। সূত্রের দাবি, বাজেটে ঘোষিত এই প্রকল্প কার্যকর করতে গিয়ে রাজ্য সরকার কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি করবে। অর্থদপ্তরের তরফে সংশ্লিষ্ট ফাইল দীর্ঘদিন পড়ে ছিল। অবশেষে অর্থদপ্তরের সবুজসঙ্কেত মেলার পরই সরকারি এই আদেশনামা জারি হল।