রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
নিজের পছন্দ মতো গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটর বেছে নেওয়ার পাইলট প্রকল্প গত জুন মাসে চালু হয়। এরপর দেশের মোট ৫৫টি শহরে প্রকল্পটি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত ছোট শহরগুলিকেই প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই তালিকায় এরাজ্যের হাওড়া, হুগলি, হলদিয়া, আসানসোল, দুর্গাপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ইন্ডিয়ান অয়েলের এলপিজি বিভাগের চিফ জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ দে বলেন, এক সপ্তাহ আগে রাজ্যে এই পরিষেবা চালু করেছি। শীঘ্রই কলকাতাতেও হবে।
নতুন উদ্যোগে কী সুবিধা মিলবে? বিভাগীয় কর্তারা জানাচ্ছেন, গ্রাহক রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির পোর্টাল বা মোবাইল অ্যাপে গ্যাস বুকিং করতে গেলেই তাঁদের এলাকার পাশ্ববর্তী ডিস্ট্রিবিউটরদের রেটিং দেখতে পাবেন। সেখান থেকে পছন্দের ডিস্ট্রিবিউটরকে খুঁজে পাবেন গ্রাহক। তবে একবার পছন্দ করলে, বারবার সেই ডিস্ট্রিবিউটরের থেকেই সিলিন্ডার নিতে হবে, এমন কোনও শর্ত নেই।
এদিকে গোল বেঁধেছে অন্য জায়গায়। যাঁরা মোবাইলের মাধ্যমে গ্যাস বুক করেন, তাঁদের অনেকেই অপর কোনও ডিস্ট্রিবিউটেরর থেকে ফোন পাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, ‘আপনাদের ডিস্ট্রিবিউটর বদলে গিয়েছে। এখন থেকে আমরাই গ্যাস দেব। এলপিজি কোম্পানিরই এমন নির্দেশ। ছ’মাস আমাদের থেকেই নিতে হবে।’ অন্তত ছ’মাস সিলিন্ডার নেওয়ার পর গ্রাহক আবার পুরনো ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে ফিরে যেতে পারবেন। গ্রাহককে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে, তাঁর অনুমতি ছাড়াই এভাবে রাতারাতি ডিস্ট্রিবিউটরশিপ বদলে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের একাংশ। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ জমেছে ডিস্ট্রিবিউটরদের মধ্যেও। অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজনবিহারী বিশ্বাস বলেন, ‘গ্যাস সংস্থাগুলি থেকে আমাদের বলা হচ্ছে, গ্রাহক নাকি ডিস্ট্রিবিউটরশিপ বদলাতে চাইছেন। অথচ গ্রাহক জানেনই না! এতে পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। নিশ্চয়ই এর পিছনে অন্য কোনও খেলা আছে।’ তবে গ্যাস সংস্থাগুলির কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, কোনও কোনও ডিস্ট্রিবিউটর অতি উৎসাহে এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে।