পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডকে ঘিরে গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছিল। নারী সুরক্ষার দাবিতে দেশজুড়ে হয়েছিল আন্দোলন। তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার নারী সশক্তিকরণে জাতীয় মিশন চালু করে। গঠিত হয় ‘নির্ভয়া তহবিল’। সেই টাকায় অত্যাচারিত শিশুকন্যা ও মহিলাদের সহায়তায় ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ চালুর প্রকল্প ঘোষণা করে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের পোশাকি নাম ‘সখী’। কী ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় এই কেন্দ্র থেকে? নাবালিকা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন। মূলত শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতিতা, ধর্ষিতা, বাল্য বিবাহ, পাচার, গার্হস্থ্য হিংসা সহ একাধিক অপরাধের শিকার যাঁরা, তাঁদের জন্যই এই প্রকল্প। এর মাধ্যমে নিগৃহীতাদের প্রতি সুবিচার ও তাঁদের ঘুরে দাঁড়ানো নিশ্চিত করতে এক ছাতার তলায় যাবতীয় সাহায্য পৌঁছে দেবে সরকার। সখী কেন্দ্রে থাকবে স্বাস্থ্য পরিষেবা, থাকার জায়গা, আইনি পরামর্শ, কাউন্সেলিং সহ একগুচ্ছ সুযোগ-সুবিধা। ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে মহিলাদের জন্য এই বিশেষ কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়। জুলাই মাস পর্যন্ত গোটা দেশে মোট ৭০৪টি সখী কেন্দ্র গড়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় এই প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘সখী কেন্দ্র’ গড়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত একটিও তৈরি হয়নি। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় শিশু ও মহিলা উন্নয়ন মন্ত্রক ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৩টি জেলায় একটি করে ‘সখী কেন্দ্র’ গড়ার জন্য টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘সখী’ প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজার উদ্দেশে তাঁর আর্জি, মহিলাদের সুরক্ষায় এই প্রকল্প দ্রুত চালু করুন। যার জবাবে শশী পাঁজা বলেন, এ বিষয়ে প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বঙ্গনারীদের সশক্তিকরণে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী সহ একাধিক প্রকল্পের উল্লেখ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যে ‘সখী’ সফল হলে, কেন হাতরাস-উন্নাও কাণ্ড হচ্ছে? শশী পাঁজা বলেন, জেলা কিংবা ব্লক হাসপাতালে এই কেন্দ্র তৈরির বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হলেও এই প্রকল্পে আমরা পৃথক নিয়োগের রাস্তায় যাব না। কারণ, অতীতে দেখা গিয়েছে, একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে হয় টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, না হয় কর্মীদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই সতর্কতার সঙ্গেই এই প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।