গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর মা ও শিশুর চিকিৎসার মূল্যায়নে বেশ কয়েকটি সূচক বেঁধে দিয়েছে। সেগুলি হল—এক, গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে প্রসূতির নাম নথিভুক্তিকরণ। দুই, ফুল অ্যান্টিনেটাল চেক আপ বা গর্ভাবস্থার বিভিন্ন পর্বে কার্ড করা সরকারি হাসপাতালে মা ও ভাবী সন্তানের প্রসব না-হওয়ার পর্যন্ত সম্পূর্ণ চেক আপ। তিন, ফুল ইমিউনাইজেশন বা সম্পূর্ণ টিকাকরণ। অর্থাৎ সদ্যোজাতের প্রথম জন্মদিনের মধ্যে সবক’টি জরুরি টিকাদান সম্পূর্ণ করা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মা ও শিশু চিকিৎসার সূচকগুলিতে যে জায়গাগুলি এগিয়ে রয়েছে, তার অধিকাংশই স্বাস্থ্য জেলা। বেশিদিন হয়নি সেগুলি তৈরি হয়েছে। প্রথমদিকে এইসব ‘জেলা’গুলির স্বাস্থ্য প্রশাসনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীই ছিলেন না। ছিল না সাজানো গোছানো অফিসল পরিকাঠামো। কিন্তু, সময় যত এগিয়েছে খামতিগুলি অনেকটাই কাটিয়ে নিয়েছে তারা। এমনকী বেশ কিছু স্বাস্থ্য জেলা টেক্কা দিচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জেলাগুলিকেই।
অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে প্রসূতির নাম নথিভুক্তিকরণে সেরা তিন জায়গা হল বিষ্ণুপুর (৯৪.২ শতাংশ), ঝাড়গ্রাম (৯৪.২ শতাংশ) ও নন্দীগ্রাম (৯৩.৭ শতাংশ)। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই তিনটির মধ্যে দুটিই স্বাস্থ্য জেলা। তৃতীয়টিও বেশিদিন হয়নি জেলার মর্যাদা পেয়েছে। এই সূচকে একেবারে তলার সারিতে থাকা তিন জায়গা হল পশ্চিম বর্ধমান (৮০.৪ শতাংশ), উত্তর দিনাজপুর (৭৯ শতাংশ) ও দার্জিলিং (৭৮.২ শতাংশ)।
অ্যান্টিনেটাল চেক আপ-এ সেরা তিন জায়গা হল ডায়মন্ডহারবার, বিষ্ণুপুর ও হুগলি। নীচের সারির তিন জেলা হল দার্জিলিং, রামপুরহাট এবং মুর্শিদাবাদ। সম্পূর্ণ টিকাকরণে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান (৮৩.৩ শতাংশ), আলিপুরদুয়ার (৮২.৫ শতাংশ) ও নন্দীগ্রাম (৮০.৫ শতাংশ)। একেবারে নীচের সারিতে আছে পুরুলিয়া (৪৫.৬ শতাংশ), উত্তর দিনাজপুর (৩৮.১ শতাংশ) এবং দার্জিলিং (৩২.৩ শতাংশ)।
এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, আমরা প্রযুক্তিগত দিকে এমন জায়গায় চলে গিয়েছি যাতে স্বাস্থ্যভবনে বসে কম্পিউটারের একটা ক্লিকে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যায়ে কে কেমন কাজ করছেন নিমেষে দেখতে পাই। মূল্যায়নের অর্থ হার-জিত নয়। সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা। সেটাই করা হচ্ছে।