বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শনিবার ডাঃ দাস দাবি করেন, শুধু করোনাই নয়, এই প্রোটোকল মিউকোরমাইকোসিস ঠেকাতেও সক্ষম। আর আমরা রোগ নয়, রোগীর চিকিৎসা করে থাকি। এই প্রোটোকলের মাধ্যমে তাঁর ইমিউনিটি শক্তিশালী করে তুলি। তাই করোনা স্ট্রেইন বদলিয়ে থার্ড ওয়েভ ঘটালেও, আমাদের প্রোটোকল একইরকম সফল হবে। যদিও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের একাংশের মত, করোনার মতো অত্যন্ত সংক্রামক ও বিপজ্জনক অসুখে এই জাতীয় বিকল্প চিকিৎসা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। পিজি হাসপাতালের মেডিসিনের প্রধান ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, এইসব না করে যদি ওই চিকিৎসকরা সঠিকভাবে মাস্ক পরা এবং টিকা নেওয়ার গুরুত্ব বোঝাতেন, কিছুটা কাজের কাজ হতো। তাঁর পাল্টা দাবি, আর্সেনিক অ্যালবাম বহু ক্ষেত্রে কোভিড রোগীদের বিপদ বাড়িয়েছে। এগুলি অপচিকিৎসা, দাবি তাঁর।
‘এপিটি প্রোটোকল’-এ ঠিক কী বলা হয়েছে? বলা হয়েছে, করোনা প্রতিরোধে আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০ বড়দের ক্ষেত্রে চারটি করে এবং ছোটদের ক্ষেত্রে দু’টি করে দানা দিনে একবার করে পরপর তিনদিন খেতে হবে। তার ঠিক ১৫ দিন পর ফসফরাস ৩০ একই ডোজে পরপর তিনদিন একবার করে খেতে হবে। তার ১৫ দিন পর টিউবারক্যুলিনাম ২০০ একই ডোজে দু’দিন খেতে হবে। এরপর ১৫ দিন গেলে টিউবারক্যুলিনাম ১ এম একই ডোজে একদিন খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তারও ১৫ দিন পর টিউবারক্যুলিনাম ১০ এম একদিন খেলে কোর্স শেষ হবে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদ্বয় জানিয়েছেন, এই প্রোটোকল প্রয়োগের ইতিবাচক ফলের কথা তারা কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। তাঁদের সাফ কথা, ভাইরাস ঘটিত মহামারী মোকাবিলায় হোমিওপ্যাথিক ওষুধের প্রয়োগ এই প্রথম নয়। কলেরা থেকে শুধু করে জাপানিজ এনসেফেলাইটিস (জেই)—সবেতেই কামাল করেছে হোমিওপ্যাথি। জেইতে বেলেডোনা, ক্যালকেরিয়া কার্ব এবং টিউবারক্যুলিনামের প্রোটোকল নিয়ে আগে বহু চর্চা হয়েছে।