কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এমএসসি-র সচিব গত ২৭ জুলাই ডিআইদের কাছে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাতে মাদ্রাসাগুলিকে শূন্য থাকা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী পদগুলির পিপিও (প্রায়োর পারমিশন অর্ডার) পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে পিপিও পাঠানো সত্ত্বেও পদগুলি এখনও শূন্য থাকলে সেগুলিও পাঠাতে হবে বলে জানানো হয়েছে। ১৮ আগস্টের মধ্যে এটি পাঠাতে বলেছে এমএসসি। ডিআইরা এজন্য চিঠি দেবেন মাদ্রাসাগুলিকে। কোনও কোনও জেলায় এই কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। যেমন বীরভূমের ডিআই মাদ্রাসাগুলিকে চিঠি দিয়ে ১০ আগস্টের মধ্যে শূন্যপদ সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে বলেছেন।
মাদ্রাসা শিক্ষক সংগঠনের দাবি, পাঁচ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ খালি আছে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলিতে। রাজ্যে এই ধরনের মাদ্রাসার সংখ্যা ৬১৩টি। সেগুলিতে সাড়ে তিনশোর বেশি প্রধান শিক্ষকের পদও খালি রয়েছে। শিক্ষকদের পরীক্ষা নিয়েই প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ করে এমএসসি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি পরীক্ষা নেওয়া হলেও তার ফল এখনও বের হয়নি। গত ২০১৩ সালে মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগের শেষ পরীক্ষাটি নেওয়া হয়েছিল। আইনি জটিলতার কারণে ওই পরীক্ষায় সফল পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে বেশ কয়েক বছর দেরি হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ নির্দেশে কয়েক বছর আগে আড়াই হাজারের মতো শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।
মাদ্রাসাগুলিতে লাইব্রেরিয়ান ও শিক্ষাকর্মী কর্মী পদে নিয়োগের শেষ পরীক্ষা হয়েছে ২০১০ সালে। দু’টি ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১১০ ও ৫৫৬টি খালি পদ রয়েছে বলে বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম দাবি করেছে। গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের জন্য অনেক বছর আগে পরীক্ষা হলেও ফল বের হয়নি। এখানে শূন্যপদ সাড়ে সাতশোর বেশি।
বেশ কয়েক বছর আগে হাইকোর্ট একটি মামলায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে অসাংবিধানিক বলার পর রাজ্য সরকারের একটি নির্দেশিকার ভিত্তিতে কয়েকটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসার পরিচালন কমিটি নিজেরাই শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়। পরবর্তীকালে অবশ্য হাইকোর্টের ওই নির্দেশের উপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। পরে ওই মামলাটির চূড়ান্ত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে এমএসসি। ফোরামের আহ্বায়ক ইসরারুল হক মণ্ডল জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও বেশ কিছু মাদ্রাসার পরিচালন কমিটি খালিপদের সংখ্যা জানাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আগেও একবার তালিকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কিছু জানায়নি। এবার ফের যাতে তা না হয়, সেটা সরকারের দেখা দরকার।