পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থার আওতায় থাকা গ্রাহকদের দু’টি ভাগে ভাগ করা হবে। রাজ্যের গ্রাহকদের ‘ট্যাগড’ ও ভিন রাজ্যের গ্রাহকদের ‘আন ট্যাগড’ হিসেবে উল্লেখ করা হবে। ভিন রাজ্যের গ্রাহকরাও বিনা পয়সায় খাদ্যশস্য পাবেন কি না, এদিন তা খোলসা করেনি দপ্তর। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ভর্তুকি দেওয়ায় জাতীয় প্রকল্পের রেশন গ্রাহকরাও বিনা পয়সায় চাল-গম পান। এই গ্রাহকদের কেন্দ্র তিন টাকা কেজি দরে চাল ও দু’টাকা কেজি দরে গম সরবরাহ করে (মাসে মাথাপিছু পাঁচ কেজি)। শুধু প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে মাসে মাথাপিছু যে অতিরিক্ত পাঁচ কেজি করে চাল-গম দেওয়া হয়, সেটা অবশ্য মেলে বিনামূল্যে। এই অতিরিক্ত খাদ্যশস্য আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত দেওয়া হবে।
এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভিন রাজ্যের গ্রাহকদের রেশন নিতে হলে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড নিয়ে আসতে হবে। রেশন কার্ড বা আধার নম্বর ই-পস যন্ত্রে নথিভুক্ত করে তাঁদের খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থার সুযোগ নিতে হলে গ্রাহকের আধার নম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ পোর্টালে নথিভুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক। ভিন রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের একসঙ্গে বরাদ্দের সর্বাধিক ৫০ শতাংশ খাদ্য দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের রেশন গ্রাহকরাও তাঁদের মাসের পুরো বরাদ্দ একসঙ্গে তুলতে পারেন।
খাদ্যদপ্তরের নির্দেশ, আগামী ২ আগস্ট থেকে রেশনে খাদ্যশস্য দেওয়ার প্রক্রিয়া অনলাইনেই করতে হবে। কারও ক্ষেত্রে আধার নম্বর যাচাই করা না গেলে মোবাইলে ওটিপি দেখে খাদ্যশস্য দেওয়া যাবে। সেটাও যদি না হয়, তবে অনলাইনে তা উল্লেখ করে চাল-গম দেওয়া যাবে। এখন রাজ্যে রেশন গ্রাহকদের আধার সংযুক্তিকরণের জন্য বিশেষ অভিযান চলছে।