কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবার আগরতলার একটি হোটেলে ‘গৃহবন্দি’ করে রাখা হয় ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির (আইপ্যাক) ২৩ জন সদস্যকে। তৃণমূলের হয়ে বাংলার ভোট প্রচারে কাজ করেছে আইপ্যাক। এবার ত্রিপুরাতেও জোড়াফুলের জমি শক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ‘টিম পিকে’। ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছে আইপ্যাকের সদস্যরা। এই অবস্থায় সোমবার আইপ্যাকের সদস্যদের ‘গৃহবন্দি’ করে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যে প্রসঙ্গ মঙ্গলবার তুলে ধরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের দেরি আছে। কিন্তু তার একটি প্ল্যান এখন থেকেই করা দরকার। তার আগে উত্তরপ্রদেশ ও ত্রিপুরায় বিধানসভার ভোট রয়েছে। ত্রিপুরায় আইপ্যাকের সদস্যদের গৃহবন্দি করা হয়েছে। এটা করা উচিত নয়।
আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে মঙ্গলবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন বাংলার মন্ত্রী মলয় ঘটক ও ব্রাত্য বসু এবং আইএনটিটিইউসি সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালের বিমানে তাঁদের কলকাতা থেকে ত্রিপুরা যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এপ্রসঙ্গে ব্রাত্যবাবু বলেন, ত্রিপুরার অবস্থা মোটেই ভালো নয়। অগ্নিগর্ভ। সেখানে আইপ্যাকের সদস্যদের গৃহবন্দি করা হয়েছে। গণতন্ত্র ভ্রলুণ্ঠিত।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় সম্ভবত তাঁর কর্মসূচি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ব্রাত্যবাবু। এদিন ত্রিপুরায় বিভিন্ন জায়গায় মিছিল, অবস্থান ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন দলীয় কর্মীরা।
টিম পিকের সদস্যদের যেভাবে আটক করা হয়েছে, তার নিন্দা করছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিএম নেতা মানিকবাবু। তাঁর বক্তব্য, আইপ্যাকের সদস্যদের হোটেলে বন্ধ করে রেখেছে, কাগজপত্রে ভুল ধরতে পারেনি। সারাদিন তাঁরা হোটেল থেকে বেরতে পারলেন না। এটা শুধু অরাজকতা নয়, জঙ্গলের শাসনকেই ছাপিয়ে গিয়েছে! বিজেপির ভয় কোন জায়গায় গিয়েছে, এটা তার উদাহারণ। বিজেপির পাশে জনগণ থাকছে না, পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। পাশাপাশি মানিকবাবু উল্লেখ করেন, আইপ্যাক বাংলায় কাজ করেছে। তারপর এখানে এসেছে। মানুষের সঙ্গে মিশতে চাইছে। কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।
যদিও বিজেপি সরকারের পুলিসের বক্তব্য, এখন করোনা পরিস্থিতি। তাই আইপ্যাকের সদস্যদের করোনা টেস্ট করানো হবে। এখানেই তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, আইপ্যাক সংক্রান্ত বিষয়টি ত্রিপুরা সরকারের অধীন। তবে ত্রিপুরায় আগেও গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জমি দেখে এসেছে। কিন্তু মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে, বাংলার পর এবার ত্রিপুরাতেও পালিত হবে ‘খেলা হবে দিবস’। ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশিসলাল সিং বলেছেন, ১৬ আগস্ট ত্রিপুরায় খেলা হবে দিবস পালিত হবে। ওইদিন সমস্ত ক্লাবে ফুটবল বিতরণ করা হবে। ত্রিপুরায় বিজেপিকে হারাবার খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। খেলার গতি ১৬ আগস্ট থেকে আরও বাড়বে।