গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জাকির হোসেন নামে মধ্য কলকাতার এক বাসিন্দা ২৬ জুলাই পার্ক স্ট্রিটে একটি দোকানে কেক কিনতে যান। দোকান থেকে বেরনোর সময় তাঁকে আটকায় ভুয়ো আইপিএস রাজর্ষি। নিজেকে এনআইএ অফিসার পরিচয় দিয়ে বলে, জাকিরের নামে একাধিক কেস রয়েছে। এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার হতে হবে। যদি তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে চান, তাহলে তাঁকে দু’লাখ টাকা দিতে হবে। কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হওয়ায় জাকির বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে। তার ভিত্তিতে গোয়েন্দা বিভাগ পার্ক স্ট্রিট থানায় তোলাবাজি, প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তভার নেয়।
অভিযুক্ত রাজর্ষি জাকিরকে একটি ফোন নম্বর দিয়ে বলেছিল, সেই নম্বরে যোগাযোগ করতে। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিস জানতে পারে, ওই ব্যক্তির বাড়ি বেলঘরিয়া থানা এলাকায়। এর মাঝে এনআইএ থেকে রাজর্ষির বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। সেখান থেকে অফিসাররা নিশ্চিত হন এই নামে কোনও আইপিএস অফিসার সেখানে নেই। এমনকী অন্য রাজ্যেও এই নামে কোনও আইপিএস নেই। এরপরই তার বাড়িতে সোমবার রাতে হানা দেয় পুলিস। প্রথমে রাজর্ষি তদন্তকারী অফিসারদের বলে, স্পেশাল মিশনে তাকে পাঠানো হয়েছে। প্রথমে সে ‘র’ তে ছিল। এরপর তাকে এনআইএ সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একের পর এক সে ভুল উত্তর দিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে জানায় যে, সে আইপিএস নয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, এই ভুয়ো আইপিএস আট বছর ধরে জালিয়াতি করছিল। পুলিসের পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় ছবি আপলোড করত। নিয়োগ করেছিল একজন নিরাপত্তা রক্ষী ও চালককে। প্রতিদিন সকালে সে গাড়ি নিয়ে বেরত। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরত। বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াত। সঙ্গে রাখত দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র। কাউকে মামলায় গ্রেপ্তার করার হুমকি দিয়ে, আবার কাউকে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলত। এমনিতে না হলে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ভয় দেখিয়ে সে টাকা তুলত বলে অভিযোগ। কাদের ভয় দেখিয়ে রাজর্ষি টাকা তুলেছে, এই নিয়ে আলাদা করে তদন্ত শুরু হয়েছে।