কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এমন পরিষেবার জন্য এক প্রশাসনিক কর্তার (প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর) জবাবদিহি তলব করেন। সম্পর্কিত বিচারবিভাগীয় নির্দেশে সেইসঙ্গে ছিল কিছু কঠোর মন্তব্য। সেই জবাবদিহি তিনি পেয়েছিলেন। কিন্তু, একইসঙ্গে দেখা যায়, যে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্দেশ জারি করেছিলেন, সেটি স্থানান্তরিত হয়েছে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি ভট্টাচার্য মামলাটি বিচার করার ভার ছেড়ে দিলেও সেটি যেভাবে অন্য এজলাসে পাঠানো হয়েছে, তার আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দেখা দেয় নয়া বিতর্ক। এই নয়া বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জুলাই বার অ্যাসোসিয়েশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে পাঠানো হয়। বিচারপতি ভট্টাচার্যের হেফাজত থেকে মূল মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে হাইকোর্টের নিজস্ব আইন অনুযায়ী স্থানান্তরিত হয়নি বলে সেখানে অভিমত দেওয়া হয়। সমস্যাটির সমাধান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু, সেইমতো কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। হাইকোর্ট প্রশাসন বরং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাস বয়কটের এক বার্তা অ্যাসোসিয়েশনের প্যাডে প্রচারিত হয়। কিছু আইনজীবী সেইমতো বিক্ষাভও প্রদর্শন করেন। কিন্তু, বার অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ স্তর থেকে জানানো হয়, এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন প্রায় নজিরবিহীনভাবে এই বিতর্কের অবসানের লক্ষ্যে গাইডলাইন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রশাসনিক ক্ষমতা কতটা, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। কারণ, বিচারপতি ভট্টাচার্যের রায়ে মামলাটি স্থানান্তরের পদ্ধতি ও আইনি এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।