কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, কালিয়াচক থানার আলিনগর পঞ্চায়েতের জোতপরম গ্রামের এক বাসিন্দাকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে নাকি চাকরির সুপারিশ করা হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে গার্ড, অপারেটর, কোনও ধরনের অফিসের কাজে অথবা কোনও প্লান্টে যেন ওই ব্যক্তিকে নিয়োগ করার কথা বিবেচনা করা হয়। ওই সুপারিশের নীচে জাল করে মন্ত্রীর স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলেও হইচই পড়ে যায়।
সেচ, জলপথ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মালদহের মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। তাঁর বিধায়ক প্যাড ব্যবহার করে ভুয়ো সই করা ওই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে।
বিষয়টি যে পুরোপুরি ভুয়ো এবং তাঁকে অপদস্থ করার চেষ্টা, এদিন তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন সাবিনা নিজেও। মন্ত্রী বলেন, ওই স্বাক্ষর বা সুপারিশ কোনওটিই আমার নয়। শুধু মন্ত্রী হিসেবেই নয়, তিনবারের নির্বাচিত বিধায়ক হিসেবেও আমি আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন। এই ধরনের সুপারিশ আমি করিনি। আমার বিধায়ক প্যাড কোনওভাবে হাতিয়ে নিয়ে তাতে ভুয়ো স্বাক্ষর করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই পুলিসকে জানিয়েছি। আমি নিশ্চিত, বিষয়টি নিয়ে পুলিস যথাযথ পদক্ষেপ করবে।
সাবিনার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্র থেকে বলা হয়েছে, অনেকেই বিভিন্ন কাজে মন্ত্রীর কাছে আসেন। কেউ কোনও সুযোগে প্যাড হাতিয়ে নিয়ে তা কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখুক পুলিস। কালিয়াচক থানার আইসি মদনমোহন রায় বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি। যাঁর নাম ওই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গেও কথা বলা হবে।