কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। কেএলও প্রধানের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তরফে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয় বিধাননগর পূর্ব থানায়। তার ভিত্তিতে জীবনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু করা হয়। এই তদন্তভার থানার হাত থেকে নিয়েছে বেঙ্গল এসটিএফ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মায়ানমারের কোনও গোপন ডেরা থেকে এই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যে কম্পিউটার থেকে এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে, তার আইপি অ্যাড্রেস জানার চেষ্টা চলছে। যাতে সেই সূত্র ধরে কেএলও প্রধানের অবস্থান জানা যায়।
দিন কয়েক আগেও জীবন সিংয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। এরপর এক কেএলও নেতার স্বাক্ষর করা একটি চিঠি ভাইরাল হয়। সেই চিঠিতে কোচবিহারের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ও প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে চরম শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একের পর এক এমন হুমকি-বার্তা আসায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিসের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়েছে। কোচবিহার জেলাতেও পুলিস মহলকে সতর্ক করা হয়েছে। জেলার পুলিস সুপার কে কান্নান বলেন, এই ধরনের ভিডিও’র ব্যাপারে আমরা পুলিস বাহিনীকে আগেই সতর্ক করেছিলাম। আবারও সতর্ক থাকতে বলা হবে।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এই প্রসঙ্গে তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, গতকাল কেএলও প্রধান জীবন সিং ওই ভিডিও বার্তায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলার আলাদা রাজ্যের দাবিকে সমর্থন জানান। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতৃত্বদের কাছে প্রশ্ন, রাজ্যভাগের প্রশ্নে গোল গোল ব্যাখ্যা না করে আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন। আমাদের দল তৃণমূল কংগ্রেস আলাদা রাজ্যের বিপক্ষে বরাবর অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। যা বলার রাজ্য নেতৃত্ব বলবে।