কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অনেকে ভেবেছিলেন, উচ্চ মাধ্যমিকে নম্বরের বন্যা বইবে। তাঁদের ভুল প্রমাণিত করেছে সংসদ। দেখা গিয়েছে, গতবার ৯০-১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে ‘ও’ গ্রেডের আওতায় আসা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা যেখানে ছিল ৩০,২২০, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯,০১৩-এ। ৮০-৮৯ শতাংশ (এ+ গ্রেড) পাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও ৮৪,৭৪৬ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯,৩৭০-এ। ‘বি+’ গ্রেড অর্থাৎ ৬০ থেকে ৬৯ শতাংশ নম্বর পাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বরং বেড়েছে। গতবার যা ছিল ১,১০,২৬৫, এবার তা হয়েছে ১,৬৫,১৮৬। অর্থাৎ, মধ্যমেধার বাড়বাড়ন্ত এবার লক্ষণীয়। সার্বিকভাবে ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এবার ৩,১৯,৩২৭ জন। যা গতবারের তুলনায় বেশ খানিকটা কম।
এর একটা উল্টো ছবিও রয়েছে। সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস বলেন পাঁচশো থেকে এক হাজারের মতো স্কুল থেকে একাদশের নম্বর এসেছিল ত্রুটিপূর্ণ। জুনে, অর্থাৎ একেবারে শেষ মুহূর্তে তা জমা পড়ে সংসদে। সংসদ খতিয়ে দেখে বুঝতে পারে, সেই নম্বরে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। সেগুলি সংশোধনও করতে হবে। তবে, ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে তাদের ফলপ্রকাশ আর আটকে দেওয়া হয়নি। বিশেষ পর্যবেক্ষণ সহকারে মূল্যায়ন করে সেই অনুযায়ী ফলপ্রকাশ করা হয়েছে। সংসদের এক আধিকারিক বলেন, এর অন্তর্নিহিত অর্থ হল, বহু স্কুলই একাদশে কোনও পরীক্ষা নেয়নি। তাদের যখন নম্বর জমা দিতে বলা হয়, তখন তারা তড়িঘড়ি ইচ্ছামতো নম্বর পাঠিয়ে দেয়। তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিলই নেই। এতে স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীরা প্রচুর নম্বর পেয়ে যেত। সেটাই রুখে দেওয়া হয়েছে। তবে, সংসদের এক কর্তা স্বীকার করেছেন, বহু স্কুলই একাদশের খাতা চেপে দেখায় উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো নম্বর পায়নি সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা।
তবে, সংসদের তরফে আরও একটি বিকল্প দেওয়া হয়েছে। এমন স্কুলগুলির যদি নম্বর নিয়ে কোনও আপত্তি থাকে, তাহলে ২০২০ সালে সংসদের ইমেলে পাঠানো মূল রেজাল্টের স্ক্যান করা কপি এবং সেই ছাত্রছাত্রীদের ২০২০ সালের একাদশের পরীক্ষার উত্তরপত্র সহ ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদনপত্র সহ সংসদের আঞ্চলিক অফিসগুলিতে উপস্থিত হতে হবে। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তা রিভিউ করিয়ে প্রয়োজনে নম্বর পরিবর্তন করতে পারে সংসদ।
ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আবার অভিযোগ করছে, মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করলেও, উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেছে তারা। যদিও ওই দুটি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর পেয়ে কোনওরকমেই উত্তীর্ণ হয়েছিল তারা। তা সত্ত্বেও তাদের তো ফেল করার কথা নয়। এ নিয়েও সংসদে দরবার করার উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। প্রসঙ্গত, মধ্যশিক্ষা পর্ষদেও এদিন মাধ্যমিকের ফলে অসন্তুষ্ট বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা এসে উপস্থিত হন। তাঁদের অবশ্য ঢুকতে দেওয়া হয়নি।