পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ১৩ জুলাই কমিশন ৫০ পাতার এক সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেয়। মূল রিপোর্ট প্রায় ৩৫০০ পাতার। কমিশনের অভিমত ছিল, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের সমর্থকদের প্রতি শাসক দলের কর্মীদের এই হিংসা আদতে প্রতিশোধমূলক। রিপোর্টের যে অংশে ধর্ষণের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্যাদি রয়েছে, তা রাজ্যকে দেওয়ার জন্য এদিন দাবি করা হয়। কমিশন জানায়, ওই অংশে ধর্ষিতাদের নাম-ধাম ছাড়াও ঘটনাস্থলের বিবরণ, তদন্তের তথ্য রয়েছে। কমিশনের আইনজীবী সুবীর সান্যাল বলেন, মনে রাখতে হবে, রাজ্য পুলিস ওইসব ক্ষতিগ্রস্তদের হুমকি দিচ্ছে। তাই ক্ষতিগ্রস্তদের স্বার্থ রক্ষা করতেই ওই অংশটি দেওয়া হয়নি। রাজ্য প্রস্তাব দেয়, তাহলে ওই ক্ষতিগ্রস্তদের নামগুলি সম্পাদনা করা হোক। বেঞ্চ জানিয়েছে, আপাতত ওইসব তথ্য অপ্রকাশিত থাকবে।
ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের জন্য স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা গঠন করা দরকার। কারণ, রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই যেখানে মামলার সূত্রপাত, সেখানে এখন তারাই বিষয়টির তদন্ত করতে চাইছে। মামলাকারীদের আইনজীবী এমন অভিমত দিয়ে দাবি করেন, কমিশনের রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট যে, রাজ্য পুলিস ক্ষতিগ্রস্তদের হুমকি দিয়েছে। বেঞ্চ বলেছে, রাজ্য সঠিকভাবে তদন্ত করেনি বলেই এই মামলা এখন তার পক্ষে বিড়ম্বনার সৃষ্টি করছে। রাজ্যের পাল্টা অভিযোগ, কমিশনের রিপোর্ট আদ্যন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেখানে অজস্র অসামঞ্জস্য রয়েছে। ভোটের আগের ঘটনারও উল্লেখ আছে। সেই কারণেই এই রিপোর্ট যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য নয়। উদাহরণ হিসেবে বাংলায় লেখা একটি অভিযোগের উল্লেখ করা হয়। দাবি করা হয়, যার সঙ্গে কমিশনের সংক্ষিপ্ত রিপোর্টের মিল নেই। জবাবে কমিশন জানায়, এভিডেন্স আইন অনুযায়ী যে তথ্য কমিশন পেশ করেছে, তাকে প্রাথমিক দৃষ্টিতে সত্য বলেই ধরা উচিত। শপথ সহ ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া বয়ান সম্পর্কে রাজ্য যে প্রশ্ন তুলছে, তাও গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করা হয়।