বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সুপার বলেন, রতুয়ায় গুলি চলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত আমরা কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করার জন্য রতুয়া থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়া থানার বাহারাল অঞ্চলের সাহাপুর গ্রামে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সীমানা পাঁচিল নিয়ে বিবাদের জেরে বুধবার রাতে গুলি চলে। গুলি চালনার ঘটনায় মুহুর্তে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা কার্যত দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। তাতে আরও কয়েকজন জখম হন। জখমদের মধ্যে এক ব্যক্তির শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম শেখ হেনা। তাঁর ছোট ভাই শেখ সালামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর অভিযুক্তদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শেখ হেনা এবং তাঁর প্রতিবেশী শেখ নৌসারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাস্তু জমির সীমানা নিয়ে বিবাদ চলছিল। সম্প্রতি সীমানা পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে তা আরও বাড়ে। এনিয়ে এক বছর আগেও দু’পক্ষের মধ্যে একপ্রস্থ সংঘর্ষ হয়েছিল। তারপর থেকে উভয় পরিবারের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। মাঝেমধ্যে কথাকাটাকাটিও হতো। পুরনো বিবাদের জেরেই বুধবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসার মাঝে পরস্পরের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।
এদিন কলকাতায় রেফারের আগে মেডিক্যালের বেডে শুয়ে শেখ হেনা বলেন, সংঘর্ষের মধ্যে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। নৌসারের এক আত্মীয় গুলি চালায়। আমার ডান কাঁধে গুলি লাগে। গুলি চালানোর পাশাপাশি নৌসারের বাড়ির লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাকে কোপাতে উদ্যত হয়। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে ভাই গুরুতর জখম হয়। সুস্থ হয়ে পুলিসে অভিযোগ জানাব।
এদিকে, ঘটনার পর অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। নৌসারের এক আত্মীয় বলেন, ঘটনার পর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শেখ হেনা প্রথমে লোকজন নিয়ে নৌসারের বাড়িতে হামলা চালায়। তখনই গুলি চলে।