কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় কোনও বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ইন্টারনাল ফরমেটিভ ইভ্যালুয়েশনের প্রাপ্ত নম্বরের ১০ গুণের ৫০ শতাংশ (যা আদতে পাঁচ গুণ) ধরা হবে। ১০০-এর মধ্যে কেউ ৭০ পেয়ে থাকলে সেখান থেকে ৩৫ নম্বর নেওয়া হবে। আর ১০-এ ৯ পেয়ে থাকলে সেটা হয়ে দাঁড়াবে ৪৫। এভাবে, বিষয়টিতে মোট প্রাপ্ত নম্বর হবে ৮০। শিক্ষক তথা একটি শিক্ষক সংগঠনের নেতা কিঙ্কর অধিকারী এ প্রসঙ্গে বলেন, এই পদ্ধতিতে প্রতি বিষয়ে ৬৩ শতাংশের কম নম্বর পাওয়া কঠিন। কারণ, কেউ যদি ২৫ নম্বর (যা ন্যূনতম পাশমার্ক) পেয়ে নবম শ্রেণিতে কোনও বিষয়ে পাশ করে, তাহলে সেখান থেকে ১২.৫ নম্বর নেওয়া হবে। এর সঙ্গে ইন্টারনাল ইভ্যালুয়েশনে ১০ পেলে (এর কম নম্বর অধিকাংশ স্কুলই দেয় না) সেখান থেকে দেওয়া হবে ৫০। দু’টির যোগফল দাঁড়াবে ৬২.৫ বা ৬৩। কোনও স্কুল অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে কম নম্বর দিলে অবশ্য সেটা কিছুটা কমতে পারে।
এবার আসা যাক উচ্চ মাধ্যমিক প্রসঙ্গে। এক্ষেত্রে পদ্ধতিটি মাধ্যমিকের মতো ততটা সরল নয়। সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, এর জন্যই মূল্যায়ন পদ্ধতি স্থির করতে দেরি হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে, কোনও পড়ুয়ার স্বার্থ যাতে বিঘ্নিত না হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে তিনটি ফল গ্রাহ্য করা হবে। মাধ্যমিকের ফল, একাদশের বার্ষিক পরীক্ষার ফল এবং উচ্চ মাধ্যমিকের প্রজেক্ট এবং ল্যাবরেটরিভিত্তিক অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ফলের মধ্যে প্রয়োগ করা হবে বিশেষ গাণিতিক ফর্মুলা। মাধ্যমিকের ফলের উপর দেওয়া হবে ৪০ শতাংশ ওয়েটেজ। ৬০ শতাংশ ওয়েটেজ দেওয়া হবে একাদশের বার্ষিক পরীক্ষার ফলের উপর। বাকিটা নেওয়া হবে ৩০ নম্বর প্র্যাকটিক্যাল বা ২০ নম্বর প্রজক্টে প্রাপ্ত নম্বর থেকে। এর জন্য একাদশের ফলাফল ২৩ জুনের মধ্যে স্কুলগুলিকে পাঠিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মহুয়া দাস। সেটা করা গেলে জুলাইয়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। অনেকেই রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক পাশের পরে উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে আসে। তাই সেই নম্বরগুলিও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে, সিবিএসই বা আইসিএসই থেকে কেউ যদি উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে আসে, সেই নম্বরও কিন্তু জোগাড় করতে হবে সংসদকে। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য মাধ্যমিকের ফলাফলের সিডি এদিনই মহুয়াদেবীর হাতে তুলে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি, মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি এই পদ্ধতিকে সমালোচনার ঊর্ধ্বে না রেখেও স্বাগত জানিয়েছে।