বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এই চীনা নাগরিক যে প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ, তার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। একইসঙ্গে এও জানা গিয়েছে যে, হান জুনওয়ে ভারতে জনপ্রিয় বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। একাধিক নামে ভুয়ো প্রোফাইল খুলেছিল সে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতীয় নাম ব্যবহার করেছিল সে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আমলা বা উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসারদের স্ত্রী বা তাঁদের কন্যারাই ছিল তার টার্গেট। বেছে বেছে তাঁদের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব করত। তারপর তাঁদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে জেনে নিত মহিলার স্বামী বা তরুণীর বাবা ভারত সরকারের কোন বিভাগে, কোথায় কর্মরত। সংশ্লিষ্ট বিভাগের গোপনীয় তথ্য বা কাজকর্ম সম্পর্কে ওই মহিলা বা তরুণীরা কিছু জানেন কি না, তা জেনে নেওয়া হতো কায়দা করে। এরপর তাঁদের বলা হতো, সরকারি দপ্তরের অন্দরের কোনও খবর পেলে তাঁরা যেন তার ব্যক্তিগত নম্বরে সেই তথ্য পাঠান। পরের ধাপে তাঁদের সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে গিয়ে সেখানকার বিভিন্ন ছবি, গোপন নথি আনতে বলত হান জুনওয়ে। এই কাজের জন্য ভালো টাকা টোপ দেওয়া হতো। কেন এই নথি প্রয়োজন, এই প্রশ্ন যাতে না ওঠে, তাই জুনওয়ে আগেই তাঁদের বলে দিত, বিভিন্ন সরকারি কর্তাদের উপর নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে। তাই এই তথ্য সংগ্রহ করছে সে। আর গোপন নথি নিয়ে সরকারকে ভুল বোঝানো হচ্ছে কি না, তা জানতেই ওই নথি দেখে নিতে চাইছে সে। কিন্তু তার এই ফাঁদে কেউ পা দিয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। তার ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড আনলক করা গেলে এই সংক্রান্ত আরও তথ্য জানা যাবে বলে মনে করছেন অফিসাররা।