বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান রাজ্য থেকে অন্যত্র সরানোর ফলে সবচেয়ে বড় বিপদ হল—সাধারণ মানুষের চাকরি হারানো। ঠিক যেভাবে সেইলের আরএমডি-র অফিস সরিয়ে নেওয়ার কেন্দ্রীয় পরিকল্পনায় এক ঝটকায় ১৪ হাজারেরও বেশি কর্মীর ভবিষ্যৎ এখন প্রবল অনিশ্চয়তার মুখে। যদিও চিঠিতে ধর্মেন্দ্র প্রধান আশ্বাস দিয়েছেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের কোনও পরিকল্পনা সেইলের নেই। দায়িত্ববান কোম্পানি তার কর্মীদের খেয়াল রাখবে।
কিন্তু, প্রকৃত প্রশ্নের উত্তর কোথায়? ধর্মেন্দ্র প্রধানকে পাল্টা চিঠিতে সেকথা মনে করিয়ে অমিত মিত্র বলেছেন, অনুগ্রহ করে মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে সেইলের কলকাতার আরএমডি দপ্তর সরাবেন না। তাই এই বিষয়টি স্পষ্ট করুন। কর্মীদের চিন্তামুক্ত করুন। এরপরেই কেন্দ্রকে রীতিমতো তোপ দেগে অমিত মিত্র একের পর এক বাণ ছুঁড়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলায় থাকা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অফিস কেন সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ২০১৭ সালে হিন্দুস্তান স্টিল ওয়ার্কস কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের কর্পোরেট অফিস দিল্লিতে সরানো হয়েছে। ইস্টার্ন কোলফিল্ডস, ভারত কুকিং কোল, সেন্ট্রাল কোলফিল্ডস, সাউথ ইস্টার্ন কোলফিল্ডস, মহানদী কোলফিল্ডসের মতো কোল ইন্ডিয়ার অনুসারি অফিসকে ২০২০ সালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ধানবাদ, বিলাসপুর, সম্বলপুরে। ২০১৮ সালে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সেন্ট্রাল অ্যাকাউন্টস হাব চলে গিয়েছে মুম্বইয়ে। ইউবিআইয়ের সদর দপ্তর কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরানো হয়েছে ২০২০-তে।
এখানেই শেষ নয়। আগামী দিনে ৬৭ বছর ধরে থাকা টি বোর্ডের কলকাতার সদর দপ্তর, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি), ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সদর দপ্তর সরানোর পাশাপাশি শতবর্ষের অধিক পুরনো (১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত) ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই মোদি সরকারকে চাপে রাখতে রেখে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠিতে অমিত মিত্রর সাফ সওয়াল, ‘স্পষ্ট করে বলুন, উপর্যুক্ত বিষয়গুলি কি সত্যি?’ সেইলের আরএমডি দপ্তর সরানোর বিরুদ্ধে গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। এদিন সেই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও চিঠি দিয়েছে একগুচ্ছ জল্পনার উত্তর চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, ১০ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও কেন্দ্রের এই পরিকল্পনার প্রত্যাহার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। - ফাইল চিত্র