দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বারাকপুর পুরসভার পুর প্রশাসক উত্তম দাস বলেন, সংক্রমণে রাশ টানতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের পুরসভা এলাকার চন্দনপুকুর বাজার, শান্তিবাজার, তালপুকুর বাজার, আনন্দপুরী বাজার, ওয়ারলেস গেট বাজার, মাধব নিবাস বাজার, কালিয়া নিবাস বাজার, বুড়ির বাজার সহ সব বাজার আগামী সোমবার
থেকে সাতদিন বন্ধ থাকবে। তবে বাজার এলাকার বাইরে যে সব দোকান রয়েছে, সেগুলি রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনেই খোলা থাকবে। আমরা গত তিনদিন ধরে এনিয়ে মাইক প্রচার করছি।
একদিনের সংক্রমণের নিরিখে মাঝে একবার কলকাতাকে পিছনে ফেললেও মোট সংক্রমণের নিরিখে এতদিন রাজ্যে
দ্বিতীয় স্থানে ছিল উত্তর ২৪ পরগনা। কলকাতা ছিল প্রথম স্থানে। কিন্তু,
চলতি মাসের ২ তারিখে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় কলকাতাকে টেক্কা দিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তার মধ্যে বারাকপুর মহকুমায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই জেলায় ৩ লক্ষ ১২ হাজার ৮৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যেখানে কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫ হাজার ৭৩৯।
সংক্রমণ রুখতে আত্মশাসনের মধ্যে এই জেলার ১৪টি এলাকায় মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংক্রমণ রুখতে দু’দিন আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স হয়েছিল। সেখানে বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তারপর বৃহস্পতিবার পুর কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে সাতদিনের জন্য সমস্ত বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরসভার দাবি, উপসর্গহীন অনেকেই বাজারে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে জ্বর নিয়েও বাজার করছেন। অথচ, পরীক্ষা করাচ্ছেন না। দ্বিতীয়ত, একটি ছোট জায়গার মধ্যে একসঙ্গে কয়েকশো মানুষ হাজির হচ্ছেন। ফলে, বাজারগুলি সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। তাই এই সিদ্ধান্ত।