কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপির অন্দরের খবর, পশ্চিমবঙ্গে দলের টালমাটাল পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিনই কলকাতায় ছুটে যান বিজেপির সর্বভারতীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ। তিনি বাংলার ভারপ্রাপ্ত দলের সহনেতাও। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আরও দুই নেতা অরবিন্দ মেনন এবং অমিত মালব্য ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিবেশ। রাজ্যের এক নেতা রীতিমতো চিৎকার করে প্রশ্ন করেন, শুভেন্দু যাকে প্রার্থী বলবে তাঁকেই মেনে নিতে হবে নাকি? দলের অপর এক নেতার কথায়, বিধানসভা ভোটে দিল্লির নেতাদের বুঝিয়ে বহু আসনে পদ্ম প্রতীক পেয়েছিলেন শুভেন্দুবাবুর পছন্দের প্রার্থী। তাঁদের অধিকাংশই ভোটে গোহারা হেরেছেন। এবার উপনির্বাচনেও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে নিজের অনুগামীদের নাম প্রার্থী হিসেবে ভাসাতে শুরু করেছেন বিরোধী দলনেতা।
অন্যদিকে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বৈঠকে যোগ না দেওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এদিন এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘শিবপ্রকাশজিই তো যাচ্ছেন। আমি এখন মধ্যপ্রদেশেই আছি। আমার কলকাতায় যাওয়ার দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।’ প্রশ্ন উঠছে, শিবপ্রকাশকে এড়িয়ে যেতেই কি এদিন বাংলায় গেলেন না কৈলাস বিজয়বর্গীয়? কারণ, তাঁর সঙ্গে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত।
এদিকে, এদিনের বৈঠকে পরাজয়ের কারণ নিয়ে দিলীপ ঘোষেদের ব্যাখ্যা জানতে চান শিবপ্রকাশ। দলের রাজ্য সভাপতি তখন সরাসরি তৃণমূল থেকে আসা একাধিক নেতাকে ‘চর’ হিসেবে অভিহিত করেন। রাজ্যের একাধিক নেতা তো এও বলেন যে, এই ‘বিভীষণ’দের মাধ্যমে বিজেপির পরিকল্পনা আগেই তৃণমূলের কাছে ফাঁস হয়ে যেত। দলের কয়েকজন সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। মুকুল রায়ের দলত্যাগের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে সন্দেহের বাতাবরণ আরও তীব্র হয়েছে।