গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিয়ালদহ এবং খড়্গপুর ছাড়াও সারা দেশের আরও যে তিনটি ডিভিশনে অত্যাধুনিক ট্রেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কার্যকর করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল দিল্লি, চেন্নাই এবং খুরদা রোড। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, এর ফলে মূলত সাবার্বান সেকশনে ট্রেন চলাচলের যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারিতে রাখা যাবে এবং প্যাসেঞ্জার ইনফর্মেশন সিস্টেম বা স্টেশন ডিসপ্লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হতে থাকবে। অর্থাৎ, সাবার্বান অথবা লোকাল ট্রেন চলাচল একপ্রকার বাধাহীন করতে অনেক দ্রুত প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে সেইমতো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই হাওড়া-ব্যান্ডেলের ৭৪ রুট কিলোমিটার (আরকেএম) অংশে এই ট্রেন ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। একইভাবে পশ্চিম রেলের চার্চ গেট-ভিরারের ৬০ আরকেএম এবং মধ্য রেলের সিএসএমটি-কল্যাণের ৫৪ কিলোমিটার অংশে ট্রেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কার্যকর করেছে রেল বোর্ড। তবে রেলের ব্যাখ্যা, টিএমএস প্রযুক্তি কার্যকরের ফলে মূলত সাবার্বান সেকশনের ট্রেন চলাচল অনেক বেশি মসৃণ হলেও এর প্রভাব পড়বে দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলেও। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, এই ট্রেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ফলে চলন্ত লোকাল ট্রেনের রেখচিত্র ফুটে উঠবে কন্ট্রোল রুমের মনিটরে। সেক্ষেত্রে কোনও অংশে ‘ট্র্যাফিক ব্লক’ থাকলে সেই খবর আগাম চলে আসবে কন্ট্রোল রুমে। এবং সেইমতো ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া সম্ভব হবে সংশ্লিষ্ট চালককে। একইসঙ্গে ট্রেনের গতিবিধি সংক্রান্ত সবিস্তার তথ্যও থাকবে কন্ট্রোল রুমে। যেমন ট্রেন নম্বর, গার্ড, ড্রাইভার, টাইপ অব সাবার্বান প্রভৃতি। বলা হচ্ছে, যদি যাত্রাপথের কোথাও নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন, তাহলে অ্যালার্ম পাবেন কন্ট্রোলার। সেন্ট্রালাইজড কন্ট্রোল রুমের মনিটরে ট্রেনের প্রতিটি লাইনকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার ব্যবস্থাও থাকবে। ফলে যেকোনও প্রয়োজনে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।