বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অভিযুক্তদের আইনজীবী সিদ্ধান্ত লুথরা এদিন জানান, সিবিআই অভিযুক্ত চারজনকে হেফাজতে চাইছে। সেইসঙ্গে তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করতে চায়। তৃতীয় দাবি, মূল মামলা তাদের সঠিকভাবে পেশ করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু, ঘটনা হল, গ্রেপ্তার করাই হয়েছে বেআইনিভাবে। কেন বেআইনি? গ্রেপ্তার করার জন্য অনুমতি না নেওয়া, নাকি ফৌজদারি আইন অনুযায়ী নোটিস না পাঠানোর জন্য? বেঞ্চের এমন জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি জানান, নোটিস না পাঠানো ছাড়াও সিবিআই নিজ ম্যানুয়াল বা বিধি সঠিকভাবে মানেনি। তাঁর মতে, চার্জশিট পেশ করার পর পুলিস হেফাজত হতে পারে না। তাও যদি তা চাওয়া হয়, তাহলে জামিন পাওয়ার আবেদন অভিযুক্ত করতে পারেন। সেক্ষেত্রে হেফাজতে চাওয়ার আইনি বৈধতা ম্যাজিস্ট্রেট যাচাই করবেন। এই যাচাই পর্বে গণবিক্ষোভের যে প্রভাব তত্ত্বের উল্লেখ করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। কারণ, সম্পর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন নিজ চেম্বারে একা।
তাঁর দাবি, সিবিআই প্রতি পদে আপন মামলা নতুন করে বদলাতে চাইছে। প্রথমে তারা জানায়, কোনও নথি ওই বিচারকের কাছে পেশ করা যায়নি। পরে বলেছে, সশরীরে তা পেশ করা হয়েছে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানান, চার্জশিট পেশ করার পরেও গ্রেপ্তার করা যায়। জবাবে লুথরা বলেন, যখন গ্রেপ্তারির অধিকার থাকে, তখন গ্রেপ্তারির কারণ দর্শাতে হয়। বিশেষত চার্জশিট অনুসরণে। তাঁর মতে, অভিযুক্তের স্বাধীনতা খর্ব করে আদালত থেকে একতরফা রায় সংগ্রহ করার প্রবণতা এমন তদন্তকারী সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে তিনি জানান, আরও তদন্ত করার জন্য সিবিআই কোনও ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনও নেয়নি। বেঞ্চ তাঁকে মনে করিয়ে দেয়, গ্রেপ্তারির বৈধতা এখানে বিচার করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, কোর্ট অর্ডারে কী বলা আছে, সেটাই দেখতে হবে, রাস্তায় হওয়া ঘটনায় নয়। বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি।