বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
১০ মে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ ছিল বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের। তবে ওই সময় ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। ইন্টারভিউ যথাসময়ে না শুরু করায় মামলাকারী প্রার্থীরা আদালত অবমাননার অভিযোগে কমিশনকে অভিযুক্ত করার হুঁশিয়ারি দেন। এর ফলে কমিশন আদালতে গিয়ে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল। তবে আদালত বন্ধ থাকায় সেটা জানাতে কমিশনের দেরি হয়। এছাড়া বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসও ছিল না। অগত্যা কমিশন অন্য এক বিচারপতির এজলাসে মামলাটি তোলে। তবে মূল মামলাটির রায় যেহেতু মৌসুমী ভট্টাচার্য দিয়েছিলেন, তাই তাঁর এজলাসেই মামলাটি তোলার নির্দেশ দেন সেই বিচারপতি। সেইমতো এদিন পদক্ষেপ করেছে কমিশন।
অন্দরের খবর, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া অনলাইনে চালাতে চেয়েছিল কমিশন। তাদের ইন্টারভিউ তালিকাও তৈরি বলে জানা যাচ্ছে। তবে প্রযুক্তিগতভাবে অনলাইন ইন্টারভিউ নেওয়া সম্ভব হবে না বলেই এখন মনে করছেন আধিকারিকরা। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার চূড়ান্ত সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আদালতের কাছে কমিশন আবেদন জানাতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ নির্বাচন এবং কার্যত লকডাউন ইন্টারভিউ শুরুর প্রক্রিয়াকে ইতিমধ্যেই পিছিয়ে দিয়েছে। তাই গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই কিছুটা পিছিয়ে যাবে বলে তারা আশঙ্কা করছে। কমিশন সূত্রের খবর, ডাক পাবেন ২০ হাজারেরও বেশি প্রার্থী। এজন্য কমবেশি ৩৫৪টি তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেটার স্ক্রুটিনির সময় বেঁধে দেওয়া সম্ভব হয়নি, আদালতকে জানাবে কমিশন। ডিসেম্বরে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের প্যানেল বাতিল সহ নতুন করে তা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। প্যানেল ও ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। ৩১ জুলাই গোটা প্রক্রিয়া শেষ করার কথা। কমিশনের তরফ এক আধিকারিক বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ চলার কারণে কাজে দেরি হয়েছে। আদালতকে সেটাই জানানো হবে। কমিশনের আইনজীবী চপলেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।