বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আত্মশাসনে থাকলেও কিছু বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। তবে জামাইয়ের আসা-যাওয়া কতটা মসৃণ হবে, তার নিশ্চয়তা নেই। তবে চব্য-চোষ্য আয়োজনে বিরাম নেই শ্বশুরবাড়িতে। কেউ কেউ সাধ্যের বাইরে গিয়েও আপ্যায়নের ব্যবস্থা করছেন। আবার রেস্তয় টান পড়লে কেনাকাটায় কিছুটা কাটছাঁটও করছেন কেউ কেউ।
মঙ্গলবার উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, রীতিমতো দাম-দস্তুর করেই সওদা করছেন ক্রেতারা। মাছ-মাংসের দোকানের সামনে লম্বা লাইন। ফলের দামও আকাশছোঁয়া। লেক মার্কেটে বাজার করছিলেন সুপ্রতিম সেন। জানালেন, মেয়ের বাড়ি দু’টো পাড়া পরেই। ফলে মেয়ে-জামাই আসবেই। ষষ্ঠী পালনে খামতি রাখা যাবে না। জামাই যা যা খেতে ভালোবাসে, সবই নিয়ে যাচ্ছি। তবে এবার যেন ফলের দাম বড্ড চড়া। লেক মার্কেটেই এদিন আম বিকিয়েছে ৮০-১০০ টাকায়। তবে উত্তর কলকাতায় হিমসাগরের দাম কিছুটা কম। কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকা। আপেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। লিচু তো আরও বেশি। দক্ষিণ কলকাতায় যেখানে লিচু কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৩০০-৩২০ টাকায়, সেখানে শ্যামবাজারে দর উঠেছিল ৪০০ টাকা।
তবে মাছ-মাংসের দাম বাড়লেও এতটা চড়া হয়নি। গড়িয়াহাটের মাছ ব্যবসায়ী শান্তনু পাত্র বললেন, ইলিশের দাম মধ্যবিত্তদের মোটামুটি নাগালের মধ্যেই রয়েছে। সাইজ অনুযায়ী কেজি প্রতি ১৪০০-১৮০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে রুপোলি শস্য। তবে দক্ষিণ কলকাতায় চিংড়ির দাম চড়া। ভালো সাইজের বাগদা বিকিয়েছে ১৫০০ টাকায়। একটু ছোট হলে তা ৭০০-৮০০। কাটা পোনার দাম অবশ্য একই রয়েছে, বাজার বিশেষে প্রতি কেজির দাম ছিল ৩০০-৩৫০ টাকার মধ্যে। তবে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে মুরগির মাংসের দাম খানিকটা বেড়েছে। রেওয়াজি খাসির দামও ঘোরাফেরা করেছে কেজি প্রতি ৭২০ টাকার আশপাশে। সব্জির দামও অন্যান্য দিনের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।
তবে মাছের বাজারে সব থেকে বেশি চাহিদা ছিল ইলিশের। তারপরেই খাসির মাংস। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এদিন প্রায় প্রতিটি বাজারেই অন্যান্য মাছের থেকে ইলিশের চাহিদা ছিল ৩০-৪০ শতাংশ বেশি।