কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে চাহিদার সঙ্গে জোগানের সামঞ্জস্য রাখতেই এই সিদ্ধান্ত, এমনই জানিয়েছেন এক পদস্থ কর্তা। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য, অন্তত প্রতি তিনবছর অন্তর ১০ হাজার নার্স তৈরি করা। নার্সিংয়ে বাংলাকে সম্পূর্ণ স্বয়ম্ভর করতে হবে। নিজ সরকারি হাসপাতালগুলিতে যেন স্থানীয় নার্সদের কাজের অভাব না হয়। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে দু’টি ক্যাডারে সবচেয়ে বেশি সরকারি নিয়োগ হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল স্টাফ নার্স। ফি বছর চার-পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, এএনএম দুই এবং জিএনএম তিন বছরের নার্সিং পাঠ্যক্রম। সেখানে বিএসসি চার বছরের, সরকারি নার্সিং কর্মীদের জন্য পোস্ট বেসিক দু’বছরের এবং এমএসসি নার্সিং দু’বছরের পাঠ্যক্রম। এর মধ্যে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ২৭৫২টি আসন আছে জিএনএম পাঠ্যক্রমেই। বিএসসি নার্সিংয়ে ১৩৩০টি, পোস্ট বেসিক পাঠ্যক্রমে আসন ৫৬৫টি এবং এমএসসিতে ২৮৫টি। প্রস্তাবিত ন’টি কলেজ হলে রাজ্যে সরকারি নার্সিং কলেজের সংখ্যা বেড়ে হবে ২৩টি। এর মধ্যে ১০টিতে এমএসসি এবং ন’টি পোস্ট বেসিক পড়ানো হবে। এখনই প্রাইভেট নার্সিং কলেজ রয়েছে ৪৪টি। তার মধ্যে বেশ কয়েকটিকে গত এক থেকে দু’ বছরের মধ্যে ছাড়পত্র দিয়েছে সরকার।
এদিকে ছ’টি এএনএম স্কুল ছাড়াও রাজ্যে সরকারি নার্সিং স্কুলের সংখ্যা ৩৯টি। আছে ৬৮টি প্রাইভেট নার্সিং স্কুলও। সবমিলিয়ে ১০৭টি নার্সিং স্কুল আছে। স্বাস্থ্যভবনের ওই কর্তা জানান, প্রস্তাবিত কলেজ এবং স্কুলগুলি বাড়লে রাজ্যে প্রতি তিনবছর অন্তর ১০ হাজারের বেশি নার্স তৈরি করা সম্ভব হবে। যেভাবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়ছে, এই সংখ্যক নার্স তৈরি করতে না পারলে পরিষেবা দিতে নাভিশ্বাস উঠবে। সমালোচনা বাড়বে। পাশাপাশি এটাও ঘটনা গরিব, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েরা কষ্ট করে সরকারি জায়গায় নার্সিং পড়ল, আর আমরা চাকরি দিতে পারলাম না, তেমনও যেন না হয়। তাই ভারসাম্য রেখে চলছি আমরা।