বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন, হাবিব যাদের বন্যপ্রাণীর দেহাংশ বিক্রি করে, তাদের অধিকাংশই ভারতের বাসিন্দা। এখান থেকেই সেই দেহাংশ নেপাল হয়ে চীনে পাচার হতো। গোটা ব্যবস্থাটাই চলত ‘তালুকদার নেটওয়ার্কে’র নামে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিস এবং বনদপ্তর স্থানীয়ভাবে কয়েকজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের সঙ্গে বাঘ হাবিবের যোগ থাকার সন্দেহ করা হলেও তার নাগাল মেলেনি। তদন্তে জানা যায়, এপারেও সুন্দরবনের মধু শিকারিদের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল হাবিবের। তাদের সাহায্যে পুলিস-বনদপ্তরের নজর এড়িয়ে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকত সে। ডব্লুসিসিবি’র ওই কর্তার দাবি, বাংলাদেশ সুন্দরবনে একবার চোরাশিকারিদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালিয়েছিল সেই দেশের পুলিস। সেই সময়েও বাঘ হাবিব পালিয়ে ভারতীয় সুন্দরবনে আশ্রয় নিয়েছিল বলে ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়।
পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী পাচারের সঙ্গে পূর্বে যুক্ত থাকা (বর্তমানে তিনি সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন) এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বাঘ হাবিবকে তিনি কখনও দেখেননি। কিন্তু, ‘তালুকদার নেটওয়ার্কে’র কথা মধু শিকারিদের কাছে বহুবার শুনেছেন। সুন্দরবন এলাকায় দু’বার মাদক এবং শাড়িপাচারের ঘটনায় হাবিবের নাম জানতে পেরেছিল ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং বিএসএফ। কিন্তু, প্রমাণের অভাবে তদন্ত এগয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) প্রদীপ ব্যাস জানিয়েছেন, ভারতীয় সুন্দরবনে চোরাশিকারের পরিমাণ বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। সামান্য যে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল, তার সঙ্গে বাঘ হাবিবের কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা চোরাপথে এদেশের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে অনেক সময়েই। এর জন্য রাজ্য বনদপ্তর, বিএসএফ, উপকূল রক্ষী বাহিনী সর্বদাই সতর্ক থাকে। তবে এবিষয়ে বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নতি হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।