বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধপত্র ও সরঞ্জামের উপর কর সামান্য ছাড় দেওয়া হলেও, তা সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করা হয়নি। যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় রাজ্য সরকার ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। গত ৯ মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি করোনা মোকাবিলায় ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জাম করমুক্ত করার দাবি জানান। কিন্তু কেন্দ্র তা মানেনি। অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার ক্ষেত্রেও কর বসানো হয়েছে। যা অত্যন্ত মর্মান্তিক বলে মনে করে রাজ্যের শাসকদল। বলা হয়েছে, রেমডেসিভির ওষুধ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, অক্সিমিটার, করোনা টেস্টিং কিট, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সহ করোনা মোকাবিলার একাধিক ক্ষেত্রে কর চাপিয়ে কেন্দ্র জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ
হল, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে মানুষের স্বার্থের এই কথাই বলতে চেয়েছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কিন্তু তাঁকে তা বলতে দেওয়া হয়নি।
এমন অভিযোগ করে অমিতবাবু দাবি করেন যে, জিএসটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ভার্চুয়াল বৈঠকের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বারবার তিনি আপত্তির কথা জানানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বলতে দেওয়া হয়নি। সচিব বৈঠক শেষ করে দেন। ভার্চুয়াল লিঙ্ক কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেন, অমিত মিত্রের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সংযোগ ঠিকঠাক হচ্ছিল না। টেকনিক্যাল ত্রুটি ধরা পড়ে। তবে এই যুক্তি মানতে চাইছে না রাজ্য সরকার। বাংলার কণ্ঠরোধ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, আজ, সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে যাবতীয় বিষয়ে তিনি বলবেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেও প্রতিবাদ জানানো হবে। এই অবস্থায় অমিত মিত্রের পাশে দাঁড়িয়েছেন কেরলের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাক। তাঁর বক্তব্য, অমিত মিত্রকে বলতে না দেওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মাইক সুইচ অফ করে দেওয়া অত্যন্ত মর্মান্তিক। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সঠিক সমাধান হওয়া প্রয়োজন।