কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পাঁচ রাজ্যের সাম্প্রতিক নির্বাচনে ভরাডুবি হলেও কংগ্রেস সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। দলের একাংশের মতে, বাংলায় বামেদের বদলে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলে ফল এতটা খারাপ হত না। বাংলায় বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হওয়া কমাতেই শেষ মুহূর্তে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব গাছাড়া ভাব দেখিয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত। রাহুল গান্ধী দায়সারা মাত্র একদিন গিয়ে কোভিড পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে প্রচার এড়িয়ে গিয়েছেন বলেও চর্চা। তবে প্রদেশ নেতৃত্ব যেহেতু ২০১৬ সালের অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে বামেদের সঙ্গে জোটে লড়তে চেয়েছিল, তাতে আপত্তিও করেনি হাইকমান্ড। কিন্তু আদতে তার মাসুল গুনতে হচ্ছে গোটা দলকেই। মেলেনি একটা আসনও।
কেবল পশ্চিমবঙ্গই নয়, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম এবং পুদুচেরি নিয়েও রিপোর্ট দিয়েছে পাঁচ সদস্যের কমিটি। কংগ্রেসের বেহাল অবস্থার কারণ কী, তা বিশ্লেষণ করতে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চৌহানের সভাপতিত্বে সলমন খুরশিদ, মণীশ তিওয়ারি, ভিনসেন্ট পালা এবং জ্যোতি মণিকে নিয়ে বিশেষ কমিটি গড়েন সোনিয়া গান্ধী। সম্প্রতি সেই কমিটিই রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্টে অসমে ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য উপযুক্ত কোনও মুখ তুলে না ধরাকে বড় ভুল বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কেরলে বিপর্যয়ের কারণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দক্ষিণের ওই রাজ্যে নজিরবিহীনভাবে পরপর দু’বার ক্ষমতায় এসেছে বামেরা। তামিলনাড়ুতে ডিএমকের সঙ্গে জোটে ১৮ আসন পেলেও কংগ্রেস ভোট পেয়েছে মাত্র ৪.২৭ শতাংশ। পুদুচেরিতে কিছুদিন আগে পর্যন্ত যেখানে কংগ্রেসের সরকার ছিল, সেখানে এবার মিলেছে মাত্র দুটি আসন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী এবার ভোটেই দাঁড়াননি। তবে তাঁর নেতৃত্ব নিয়েও সমস্যা ছিল বলেই মত কমিটির।