কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
করোনার বাড়বাড়ন্তে এই মুহূর্তে তারাপীঠে পর্যটকদের আনাগোনা প্রায় নেই বললেই চলে। এই মন্দির নগরীতে ছোট-বড় মিলিয়ে সাতশোর বেশি হোটেল ও লজ রয়েছে। বর্তমানে এর প্রায় ৪০শতাংশই পর্যটকের অভাবে বন্ধ। যেগুলি খোলা আছে তার অধিকাংশই বড় হোটেল। সেগুলিতে যাত্রী সংখ্যাও হাতে গোনা। তথাপি সংক্রমণ যাতে কোনওভাবেই না ছড়ায় সেজন্য হোটেল ও লজ ব্যবসায়ীদের উপর কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চলতি মহামারীর বিরুদ্ধে পর্যটকদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে যাঁরা তারাপীঠে আসবেন তাঁদের করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। আর তা এখানে আসার দু’দিন আগে পর্যন্ত মঞ্জুর করা হবে। রিপোর্ট পুরনো হলে নতুন করে স্থানীয় কোনও হাসপাতাল বা ল্যাবে টেষ্ট করিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট আনতে হবে। তবেই মিলবে হোটেলে ঢোকার ছাড়পত্র। হোটেল অ্যাসোসিয়েশনকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণকারী এবং হোটেল কর্মী উভয়কেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখতে হবে। হোটেল কর্মীদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি অতিথিদের জন্য একই ব্যবস্থা নিতে হবে। হোটেলের ঘর, রান্নাঘর, ওয়াশরুম সহ অন্যান্য জায়গা যথাযথ পরিষ্কার এবং স্যানিটাইজেশন নিশ্চিত করতে হবে। হোটেল-লজগুলিতে বোর্ডারদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার সঙ্গে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয় সেদিকে কঠোর নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট সহ মন্দির নগরীর যত্রতত্র থুথু ফেলা নিষিদ্ধ। হোটেল চত্বরের ভিতরে ও বাইরের দরজা, আসবাবপত্র নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। অতিথিরা হোটেল ছাড়ার পর রুম সহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র খুব ভালো করে স্যানিটাইজেশন করতে হবে। প্রবীণ বোর্ডারদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কোভিড প্রটোকল অনুযায়ী কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা না নিলে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে তারাপীঠ হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, এমনিতেই এখন পর্যটকরা আসছেন না। তাছাড়া, যাঁরা আসবেন তাঁরা সবাই কোভিড মুক্তই। অসুস্থতা নিয়ে নিশ্চই কেউ বেড়াতে আসবেন না। তবুও সবাইকেই কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে প্রশাসন যা নির্দেশ দিয়েছে তা সমস্ত হোটেল ও লজ কর্তৃপক্ষকে মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।